পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যক গু | ২৩৭ ছিলাম, ঐ সময় সে আমার পক্ষ ছেদন পূর্বক দক্ষিণাভিমুখে প্রস্থান করিল । রাম ! আমার প্রাণ কণ্ঠগত হইয়াছে, দৃষ্টি উদ্ভান্ত হইতেছে, এবং আমি উশীরকতকেশ স্বর্ণবৃক্ষ দর্শন করিতেছি । বৎস! দুৰ্বত্ত রাবণ যে মুহূৰ্ত্তে জানকীকে হরণ করে, উহার নাম বিন্দ । উহার প্রভাবে নষ্ট ধন শাস্ত্র অধিকারীর হস্তগত হয়, এবং শক্র বড়িশগ্রাহী মৎস্যের ন্যায় অবিলম্বে প্রাণত্যাগ করিয়া থাকে । কিন্তু তৎকালে রাবণ ইহার কিছুই বুঝিতে পারে নাই । অতএব বৎস! জানকীর জন্য দুঃখিত হইও না । তুমি যুদ্ধে শত্রু সংহার করিয়া শীঘ্রই র্তাহারে পাইবে । মৃতকম্প জটায়ু বিমোহিত না হইয়া এইরূপ কহিতেছিলেন, ইত্যবসরে সহসা তাহার মুখ হইতে মাংসের সহিত অনবরত শোণিত উদ্গার হইতে লাগিল। বিশ্রবার পুত্র, কুবেরের ভ্রাতা— কথা শেষ না হইতেই কণ্ঠরোধ হইয়া আসিল । রাম কৃতাঞ্জলিপুটে বল বল এই বাক্যে ব্যস্তসমস্ত হইয়া উঠিলেন । দুর্লভ প্রাণ তৎক্ষণাৎ জটায়ুর দেহ পরিত্যাগ করিল, মস্তক ভূতলে লুষ্ঠিত হইয়া পড়িল, চরণ কম্পিত হইতে লাগিল এবং তিনি অঙ্গ প্রসারণ পূর্বক শয়ন করিলেন । তাম্রলোচন পৰ্ব্বতাকার জটায়ুর মৃতু্য হইলে, রাম যার পর নাই দুঃখিত হইয়া, কৰুণবাক্যে লক্ষণকে কহিতে লাগিলেন, i