পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যকাণ্ড । ২৭ প্ৰাণহিংসারূপ যে কঠোর ব্যসনে আসক্ত হয়, এক্ষণে তোমার তাঁহাই ঘটিতেছে। তুমি বনবাসী ঋষিগণের রক্ষাবিধানর্থ যুদ্ধে রাক্ষস-বধ স্বীকার করিয়াছ, এবং এই নিমিত্তই ধনুৰ্ব্বাণ লইয়া লক্ষণের সহিত দণ্ডকারণ্যে যাইতেছ। কিন্তু ভৌমীয় যাইতে দেখিয়া আমার মন অত্যন্ত চঞ্চল হইতেছে । আমি তোমার কার্য আলোচনা করিতেছি, তোমার মুখ ও সুখসাধনই বা কি, চিন্তু করিতেছি ; চিন্তা করিতে গিয়া পদে পদে বিষম উদ্বেগ উপস্থিত হইতেছে । তুমি যে দণ্ডকারণ্যে যাও, আমার এরূপ ইচ্ছ। নয় । তথtয় গমন করিলে নিশ্চয়ই রাক্ষসদিগের সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইবে । কারণ শরাসন সঙ্গে থাকিলে, ক্ষত্ৰিয়দিগের তেজ সবিশেষ বৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে । - নাথ ! পূৰ্ব্বে কোন এক সত্যশীল ঋষি শান্তমৃগবিহঙ্গে পূর্ণ বনমধ্যে তপঃসাধন করিতেন । একদা ইন্দ্র তাছার তপস্যার বিঘ্ন কামনায় যোদ্ধার রূপ ধারণ করিমণ, অসিহস্তে উপস্থিত হন, এবং তাছার নিকট ন্যাসম্বরূপ ঐ খড়গ রাখিয় দেন। তাপস ম্যাস-রক্ষীয় তৎপর ছিলেন, এবং বিশ্বাস-ভঙ্গ-ভয়ে খড়গ গ্রহণ পূর্বক বনমধ্যে বিচরণ করিভেন । ফলমূল তাই রণার্থ কোথাও গমন করিতে হইলে, তিনি ঐ অস্ত্র ব্যতীত যাইতেন না। এইরূপে তপোধন সতত উহা বহন করিতে করিতে ক্রমশঃ