পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: - Ֆ রামায়ণ । তুমি মর্ত্যদেহের শ্রীবৃদ্ধিমুখ অতিক্রম করিয়া দিব্য দেছের সৌষ্ঠৰ লাভ করিয়াছ । তোমার হস্তে শর ও শরাসন, এক্ষণে তুমি যে বাণে বালিকে বধ করিলে, তাহা দ্বারাই আগমণকে বিনাশ কর, আমি নিছত হইয়৷ ইহঁীর নিকটস্থ হইব ; ইনি অীমা ব্যতীত অন্য রমণীর সহিত কখন আলাপ করিবেন না। পদাপলাশলোচন ! মুরলোকে অপসরা সকল রক্তপুষ্পে কেশপাশ অলস্কৃত করিয়া উজ্জ্বল বেশে বালির নিকট আসিবে, বালি অামার আদর্শনে কাতর হইয়া আছেন, এক্ষণে উছাদিগকে দেখিয়া এবং উহাদের সঙ্গে মিলিত হইয়া কদাচ মুখী হইবেন না। বীর ! তুমি যেমন এই রমণীয় শৈলশৃঙ্গে জানকীর জন্য ব্যাকুল হইয়াছ, বালি সেইরূপ স্বর্গেও আমার বিরহে শোকাকুল ও বিবর্ণ হইবেন। মুরূপ পুৰুষ স্ত্রীবিচ্ছেদে যেরূপ দুঃখিত হয়, তুমি ত তাছা জান, আমি সেই জন্যই তোমাকে কছিতেছি, তুমি আমাকে বিনাশ কর, দেখ, বালি আমার আদর্শনক্লেশ কখন সহ্য করিতে পরিবেন না । মহাত্মন্‌ ! আমায় বধ করিলে যে, তোমার স্ত্রীছত্যা দোষ ঘটিবে, তুমি এরূপ বোধ করিও না, আমি বালির আত্মা, এক্ষণে এই ভাবিয়াই আমাকে বিনাশ কর, ইহাতে তোমার স্ত্রীবধের পাতক কখন বৰ্ত্তিবে না । দেখ, পতি ও পত্নী উভয়েই অভিন্ন, ইহা যজ্ঞে অধিকার ও বেদপ্রমাণ দ্বার প্রতিপন্ন হইতেছে । আরও ইছলোকে স্ত্রীদান অপেক্ষ উৎকৃষ্ট দীন জ্ঞানিদিগের পক্ষে আর কিছুই নাই,