পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিস্কিন্ধাকাণ্ড । సి হইয়াছে। শৈলশিখরে নীল পীত পুষ্প পতিত হইয়া, নানা বর্ণের শয্যা প্রস্তুত করিয়াছে। লক্ষণ দেখ, বসন্তে কি পুষ্পই জন্মিতেছে। বৃক্ষ সকল যেন পরস্পর স্পৰ্দ্ধা করিয়া পুষ্প প্রসব করিতেছে । শাখা সমূহ পুপ-স্তবকে শোভিত, ভ্রমরগণ গুণ গুণ রবে গান করায় বোধ হইতেছে, যেন, বৃক্ষগুলিই পরস্পরকে আস্থান করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছে । ঐ দেখ, একটি হংস পম্পার স্বচ্ছ সলিলে আমার মনোবিকার বৰ্দ্ধিত করিয়া হংসীর সহিত বিহার করিতেছে । এই নদী কি সুদৃশ্য ! জগতে ইহার যে সমস্ত মনোজ্ঞ গুণ প্রচার অাছে, তাহা অলীক বোধ হয় না । এক্ষণে যদি আমি সাধী সীতাকে দেখিতে পাই, যদি এই পম্পাতটে র্তাহার সহবাসে কালক্ষেপ করি, তাহা হইলে ইন্দ্রস্তু কি অযোধ্যা কিছুই চাহি না । এই রমণীয় তৃণশ্যামল প্রদেশে সীতার সহিত বিহার করিলে নিশ্চয়ই নিশ্চিন্তু ও নিস্পৃহ হই । বৎস! আমি কান্তাবিরহী, এক্ষণে এই বিচিত্রপত্র বৃক্ষ সকল পুষ্পত্ৰ বিস্তার পূর্বক এই স্থানে যার পর নাই আমায় চিন্তাকুল ও কাতর করিতেছে ।

  • আহা ! পম্পার কি শোভা । ইহার জল অতি শীতল, সৰ্ব্বত্র পদ্ম প্রস্ফুটিত হইয়াছে, চক্ৰবাক, ক্ৰৌঞ্চ, হংস প্রভৃতি জলচর বিহঙ্গের কলরব করিতেছে, এবং ইহার তীরে নানারূপ মৃগযুথ দৃষ্ট হইতেছে। ঐ সমস্ত হর্ষোন্মত্ত পক্ষী সেই পদ্মলোচনা

[ ૨ . -