পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । * 5xt ঐ দেখ, চক্রবাকেরণ মানস সরোবর ছইতে আসিয়াছে, উছাদিগের সর্বাঙ্গ পদাপরাগে রঞ্জিত, উহারা বৃহৎ ও সুন্দর পক্ষ প্রসারণ পূর্বক পুলিনে হংসের সহিত বিচরণ করিতেছে । নদীর জল নিৰ্ম্মল । আজ ময়ুরগণ জাকাশ মেঘশূন্য । দেখিয়া, পুচ্ছ রূপ আভরণ পরিত্যাগ পূর্বক চিন্তি ভ ও নিরানন্দ হইয়া আছে । প্রিয়তমা ময়ূরীর প্রতি উহাদের একান্তই বিরাগ এবং ভোগেও আর স্প হা নাই । স্বর্ণবর্ণ অসন বৃক্ষের শাখাগ্র পুষ্পভরে অবনাক্ত হইয়া কুসুমগন্ধ বিস্তার করিতেছে । দেখ, এই সমস্ত সুদৃশ্ব বৃক্ষে বন বিভাগের কি শোভাই হুইয়াছে । মাতঙ্গগণ মদমত্ত ও মদলালস হুইয়ণ, করিণীর সহিত কখন পদাবনে, কখন অরণ্যে, কখন বা সপ্তপণের গন্ধ অপভ্রাণ পূর্বক মন্দগমনে বিচরণ করিতেছে । আকাশ অসিশ্যামল, নদী ক্ষীণপ্রবtছ, বায়ু কহলার পুষ্পে সুগন্ধি ও শীতল হইয়া বছিতেছে এবং দিক সকল অন্ধকারমুক্ত ও স্বপ্রকাশ । অদ্য রৌদ্রের উত্তাপে পথের পঙ্ক শুক্র হইয়া গিয়াছে এবং বহু দিনের পর ঘনীভুত ধূলিজাল উত্থিত হইতেছে। যে সমস্ত নৃপতি পরস্পরের প্রভি বদ্ধবৈর, এক্ষণে র্তাহীদের যুদ্ধযাত্রীর সময় উপস্থিত । শরতের প্রভাবে বৃষদিগের রূপ ও শোভা বৰ্দ্ধিত হইয়াছে। উহারা মদমত্ত হৃষ্ট ও ধূলিতে লুষ্ঠিত হইয়া যুদ্ধলোভে গোসমুহের মধ্যে নিনাদ করিতেছে । করিণী