পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X + Q2 রামায়ণ । ক্রোধানল বিশাল বড়বামুখরূপে পরিণত আছে । ঐ অগ্নি যুগান্তকালে এই বিচিত্র স্থাবর জঙ্গমাত্মক জগৎ আছার করিয়া থাকে। তথায় সকল প্রকার জলজন্তু ঐ বড়বামুখ দর্শনে ভীত হইয়া নিরন্তর চীৎকার করিতেছে। উহাদের অর্ভিরব অতিদূর হইতেও শ্রুতিগোচর হইয় থাকে । সমুদ্রের উত্তর তীরে কনকশিল নামক স্বর্ণপ্রভ একটা পৰ্ব্বত আছে। উছা ত্রয়োদশ যোজন বিস্তৃত। তোমরা তথায় সৰ্ব্বদেবপূজিত ধরণীধর অনন্তকে দেখিতে পাইবে । তিনি নীলবাস পরিধান পূৰ্ব্বক ধবলদেহে শৈলশৃঙ্গে বিরাজ করিতেছেন । তাছার মস্তক সহঅ এবং নেত্র পদ্মপত্রের ন্যায় বিস্তৃত । পৰ্ব্বতের শিখরদেশে তাহারই চিচুস্বরূপ বেদির উপর এক স্বর্ণময় ত্রিশিরস্ক তালবৃক্ষ দেখিতে পাওয়া যায় । মুররাজ ইন্দ্র পূর্বদিকেই উহা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । পরে স্বর্ণময়, শ্ৰীমান উদয় পৰ্ব্বত ; উছার বহুসংখ্য শৃঙ্গ মুলদেশ হইতে শতযোজন উত্থিত হইয়া নভোমণ্ডল স্পর্শ করিতেছে । উছাভে কুসুমিত স্বর্ণের কণিকার, এবং উজ্জ্বল শাল ভাল ও ভমাল বৃক্ষ সকল নিরীক্ষিত হইয়া থাকে । তথায় সোঁমন নামক স্বর্ণময় একটা শৃঙ্গ আছে, উহা এক যোজন ৰিস্তৃত ও দশ যোজন উন্নত। পূৰ্ব্বে পুৰুষোত্তম বিষ্ণু ত্ৰৈলোক্যআক্রমণ কালে ঐ শৃঙ্গে এক পদ এবং সুমেৰুশিখরে দ্বিতীয় পদ