পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-8 রামায়ণ । সমুদ্রের চতুর্থাংশ অতিক্রম করিলে চক্রবান নামে আর একটা পৰ্ব্বত দৃষ্ট হইবে। তথায় বিশ্বকৰ্ম্ম সহস্রতারযুক্ত এক চক্র নির্মাণ করিয়াছিলেন । পুৰুষপ্রধান বিষ্ণু, পঞ্চজন ও ছয়গ্ৰীব নামক দুই দানবকে বধ করিয়া তথা হইতে এক শঙ্খ ও ঐ চক্র আহরণ করেন। চক্রবান পৰ্ব্বতের শৃঙ্গ অভ্যন্ত রমণীয় এবং গুহা সকল অতি বিশাল ; ভোমরা তথায় গিয়া জানকী ও রাবণের অন্বেযণ করিও । পরে বরাহ পৰ্ব্বত, উহা চতুঃষষ্টি যোজন বিস্তৃত । ঐ স্থানে প্রাগজ্যোতিষ নগরী ; নরক নামে কোন দুষ্টমতি দানব ভধায় বাস করিয়া থাকে। পরে সোঁবর্ণ পৰ্ব্বত, উহাতে প্রস্রবণ অজস্রধারে বহিতেছে, এবং সিংহ, ব্যাঘ্ৰ, হস্তী ও বরাহ প্রভূতি হিংস্র জন্তুগণ একান্ত গৰ্ব্বিত ছইয়া নিরস্তুর গৰ্জ্জন করিতেছে। সোঁবর্ণের অপর নাম মেঘ ; পূৰ্ব্বে মুরগণ ঐ পৰ্ব্বতে শ্ৰীমান ইন্দ্রকে অভিষেক করিয়াছিলেন । এক্ষণে তিনি উহার রক্ষক। ঐ পৰ্ব্বত অতিক্রম করিলে যটি সহস্ৰ শৈল দৃষ্ট হইয়া থাকে। ঐ সমস্ত শৈলের বর্ণ প্রাতঃস্থৰ্য্যের ন্যায় অৰুণ ; তথায় স্বর্ণের বৃক্ষ সকল ফলপূপে পূর্ণ অাছে। ঐ যষ্টি সহস্রের মধ্যে সুমেৰুই সর্বশ্রেষ্ঠ । পূর্বে স্থৰ্যদেব প্রসন্ন হইয়া ঐ পৰ্ব্বতকে এইরূপ বর দিয়াছিলেন, সুমেৰু ! যে পদার্থ তোমাকে আশ্রয় করিবে, আমার প্রসাদে তাছা অহৰ্নিশি স্বর্ণ হুইয়া থাকিবে । যে সমস্তু দেবতা ও গন্ধৰ্ব্ব তোমাতে বাস