পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকীও | ৯৭ অচিন্ত্যস্বভাব দেবাদিদেব ৰুড়ের অনুগমন করিতেছেন। ফলতঃ ইহঁীদিগের গমনকালে দশ দিকে অনিৰ্ব্বচনীয় এক শোভার অবিভাব হইল । মহর্ষি বিশ্বামিত্র রাজধানী অযোধ্য হইতে অৰ্দ্ধযোজনেরও অধিক পথ অতিক্রম করিয়া সরযুর দক্ষিণ তীরে ‘রাম এই মধুর নাম উচ্চারণ পূৰ্ব্বক কহিলেন, বৎস! তুমি এই নদীর জল লইয়া আচমন কর । এক্ষণে কালতিপাত করা আর কৰ্ত্তব্য নহে। আমি তোমাকে বলা ও অতিবলা নামক মন্ত্র প্রদান করিতেছি । ঐ মন্ত্রপ্রভাবে বহু পৰ্য্যটনেও শ্রান্তি, জ্বর ও রূপের কিছুমাত্র ব্যতিক্রম হইবে না । নিদ্রিত বা কাৰ্য্যাস্তুর প্রসঙ্গে অসাবধান থাকিলেও উহার প্রভাবে রাক্ষসেরা পরাভব করিতে পারবে না । বৎস! এই মন্ত্র জপ করিলে এই পৃথিবীতে—কেবল এই পৃথিবীতে নহে, ত্রিলোকমধ্যেও তোমার তুল্য বলবান দৃষ্টিগোচর হইবে না । কি সৌভাগ্য কি দাক্ষিণ্য কি তত্ত্বজ্ঞান কি হুক্ষমার্থবোধ কোন বিষয়ে কেহই তোমার সমকক্ষ হইতে পরিবে না । ইহারই বলে তোমার ন্যায় আর কেহই বাদার প্রতি প্রকৃত প্রত্যুত্তর প্রয়োগে সমর্থ হইবে মা ! এই বলা ও অতিবলা নাস্ত্রী দুইটী বিদ্যা সকল জ্ঞানের প্রস্থতি । এই বিদ্যাবলে সৰ্ব্ববিষয়ে তুমি সকলকেই অতিক্রম করিতে পরিবে । কুৎপি