পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రి রামায়ণ । नेौशीक्री নিশাচরকে নিৰীক্ষণ পূৰ্ব্বক লক্ষণকে কহিলেন, লক্ষণ। ঐ যক্ষিণীর আকার কি ভয়ঙ্কর! উহারে দেখিলে । কি ভীৰু কি সাহসী সকলেরই হৃদয় কম্পিত হয় । দেখ, আমি এখন ঐ মায়াবিনীর নাসা কৰ্ণ ছেদন করিয়া উহাকে দূর হইতেই নিবৃত্ত করি । বল স্ত, উছার পরপরাভব শক্তি ও অপ্রতিহত গতি এই উভয়ই অপহরণ করিয়া লই । কিন্তু বৎস! স্ত্রীজাতি বলিয়া এক্ষণে উহাকে বধ করিতে অণমার কোন মতেই অভিৰুচি হইতেছে না । ! - রাম লক্ষণকে এইরূপ কহিতেছেন, এই অবসরে ভ1৬ক ক্ৰোধে অধীর হইয়া বাহু উত্তোলন ও তর্জন গর্জন পূৰ্ব্বক উপহারই অভিমুখে বেগে আগমন করিতে লাগিল। তখন বিশ্বামিত্র কুঙ্কার পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক তাহাকে ভৎসনা করিয়া ‘বিজয়ী হও বলিয়া রাজকুমার রাম ও লক্ষণকে আশীৰ্ব্বাদ করিতে লাগিলেন । ক্ষণমাত্রেই তাড়কা নভোমণ্ডলে ধূলিজাল উড়ডীন করিয়া ঐ দুই বীরকে বিমোহিত করিল এবং মায়া বিস্তার পূর্বক অনবরত শিলাবৃষ্টি করিতে লাগিল । তখন রাম আর ক্ৰোধ সংবরণ করিতে পারিলেন না। তিনি শরনিকরে ঐ রাক্ষসীর শিলা বর্ষণ নিবারণ পূৰ্ব্বক তাহার বাহুযুগল খণ্ড খণ্ড করিয়া ফেলিলেন । সে স্থিরশস্ত ও যৎপরোনাস্তি পরিশ্রান্ত হইলেও উহাদের সম্মুখে গিয়া