পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>。 রামায়ণ । ইন্দ্রাদি দেবগণ গগনমার্গে অারোহণ পূর্বক এই ঘোরতর সংগ্রাম দর্শন করিতেছিলেন । র্তাহারা তাড়ককে রামের শরে সমরে শয়ন করিতে দেখিয়া প্রীতমনে মহর্ষি বিশ্বামিত্রকে কছিলেন, তপোধন ! তোমার মঙ্গল হউক । আমরা এই রাক্ষসী-বিনাশ স্বচক্ষে প্রভ্যক্ষ করিয়া অতিশয় সস্তুষ্ট হইলাম । এক্ষণে তোমাকে রামের প্রতি একটি স্নেহের কার্ষ্য প্রদর্শন করিতে হইবে । তুমি প্রজাপতি রুশশ্বের তপোবলসম্পন্ন তনয়দিগকে এই রামের হস্তে সমর্পণ কর । রাম তোমার দানের উপযুক্ত পাত্র এবং তোমারই শুশ্রুষায় একাত্ত অনুরক্ত । এই রাজকুমার হইতে অমরগণের মহৎ কার্য্য সাধিত হইবে । এই বলিয়া দেবগণ বিশ্বামিত্রকে সমুচিত সৎকার করিয়া হৃষ্টমনে দেবলোকে প্রস্থান করিলেন । ক্রমে সন্ধ্যাকাল উপস্থিত । তখন বিশ্বামিত্র তাড়কবন্ধে অতিমাত্র প্রীত হইয়া রামের মস্তকাম্রাণ পূর্বক কহিলেন, প্রিয়দর্শন ! অাইস, অজি আমরা এই স্থানেই রাত্রি যাপন করি । কল্য প্রভাতে আমার আশ্রমে গমন করিব । রাম বিশ্বামিত্রের বাক্য শ্রবণে পুলকিত হইয়া সেই অরণ্য-মধ্যে রজনী অতিবাহন করিতে লাগিলেন । ঐ দিবসাবধি সেই অরণ্য নিষ্কণ্টক হইয়া চৈত্ররথ-কাননের ন্যায় একান্ত রমণীয় হইয়া উঠিল । এইরূপে দশরথ-তনয় রাম মুকেতুমুতা ভাড়কাকে বিনাশ