পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪২ ৷ রামায়ণ । পুণ্য-সলিল গঙ্গ-প্রবাহ দর্শন করিয়া যার পর নাই সন্তুষ্ট হইলেন। অনন্তর সকলে ভাগীরথীতীর আশ্রয় করিয়া স্বান বিধানানুসারে পিতৃদেবগণের তর্পণ ও অগ্নিহোত্র অনুষ্ঠান করিলেন । তৎপরে অমৃতবত্থ হবি ভোজন করিয়া মহর্ষি বিশ্বামিত্রকে পরিবেষ্টন পূর্বক প্রফুল্লমনে গঙ্গাকূলে উপবিষ্ট হইলেন । , - সকলে উপবেশন করিলে রাম সহৰ্ষে মহর্ষি কৌশিককে জিজ্ঞাসিলেন, তপোধন। এই ত্রিপথগামিনী গঙ্গা ত্ৰৈলোক্য । আক্রমণ পূর্বক কি প্রকারে মহাসাগরে গিয়া নিপতিত হইতেছেন ? বলুন, শ্রবণ করিতে আমার অতিশয় ইচ্ছ। হইতেছে । ভগবান কৌশিক রামের এইরূপ কথা শুনিয়া জায়বীর উৎপত্তি ও ত্ৰৈলোক্যব্যাপ্তি কিরূপে হইল, কহিতে লাগিলেন, রাম! ধাতুর আকর গিরিবর হিমালয়ের মেন নাম্নী মনোরমা এক পত্নী আছেন । এই সুমেৰুদুহিতা মেন হইতে হিমালয়ের দুই কন্যা জন্মে। কন্যান্বয়ের মধ্যে জ্যেষ্ঠার নাম জাহ্নবী কনিষ্ঠার নাম উমা । বৎস! পৃথিবীতে জাহ্নবী ও উমার রূপের উপমা নাই। এক সময়ে সুরগণ স্বকাৰ্য্য সাধনের নিমিত্ত গঙ্গাকে হিমালয়ের নিকট প্রার্থনা করিয়াছিলেন । হিমালয়ও ত্ৰিলোকের উপকারার্থ - ত্রিপধ-বিহারিণী লোকপাবনী গঙ্গাকে ধৰ্ম্মানুসারে সুরগণের