পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪৬ রামায়ণ । তৎক্ষণাৎ তেজ পরিত্যাগ করিলেন । ঐ ভেজ দ্বারা এই গিরিকানন-পরিপূর্ণ পৃথিবী প্লাবিত হইয়া গেল। তদর্শনে দেবগণ হুতাশনকে কহিলেন, হুতাশন ! তুমি বায়ুর সহিত এই ৰুদ্ৰ-ভেজে প্রবেশ কর । তুতাশন সুরগণের আদেশে কন্দ্র-ভেজে প্রবেশ করিলে উহা শ্বেত পৰ্ব্বত ও অত্যুজল দিব্য শরবন রূপে পরিণত হইল । বৎস! এই শরবনে অগ্নি হইতে মহাতেজাঃ কীৰ্ত্তিকেয় জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন । অনন্তর দেবতার ঋষিগণের সহিত প্রীত হইয়া শিবপার্ক্সতীর পূজা করিতে লাগিলেন। তখন শৈলরাজ-দুহিতা সুরগণের প্রতি ক্রোধে আরক্ত-লোচন হইয়া উtহাদিগকে অভিশাপ দিয়া কহিলেন, সুরগণ! আমি পুত্রকামনায় স্বামিসহবাসে প্রবৃত্ত ছিলাম ! তোমরা তদ্বিধয়ে বিঘ্ন আচরণ করিয়াছ । অতএব আজি অবধি তোমরাও স্বদারে সস্তানোৎপাদনে সমর্থ হইবে না । তোমাদিগের পত্নীরা আমার শাপে নিঃসন্তুীন হইবে । তিনি দেবগণকে এইরূপ অভিশাপ দিয়া । পৃথিবীকে কহিলেন, অবনি ! অতঃপর তুইও বহুরূপ ও বহুড়োগ্য হুইবি । রে দুঃশীলে! আমার যে পুত্র হয়, তাহা তোর ইচ্ছা নহে। অতএব তুই যখন আমার কোপে পড়িলি, তখন তোকে পুত্রপ্রীতি আর অনুভব করিতে হইবে না । - অনন্তর ভগবান্‌ ব্যোমকেশ দেবী পাৰ্ব্বতীর অভিশাপে - |