পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫০ রামায়ণ । । হইতেছে। অগ্নি কৰিলেন, দেবি ! তুমি এক্ষণে এই হিমালয়ের পার্ধে তেজ পরিত্যাগ কর । সরিদ্বরা গঙ্গা অগ্নির নিদেশানুসারে তৎক্ষণাৎ নাড়া-প্রবাহ হইতে তেজ পরিত্যাগ করিলেন । তেজ উল্লাহ হইতে নিঃসৃত হইল বলিয়া উহা তপ্ত কাঞ্চনের ন্যায় একাত্ত উজ্জল হইয়া উঠিল । উহার প্রভাবে সমীপস্থ পার্থিব পদার্থ সুবর্ণ ও দূরস্থিত পাখিৰ পদার্থ রজতরূপে প্রাড়ন্ত হইল, উহার তীক্ষতায় ভাজ ও লেই জলি এবং গর্ভ-মল সীসক রূপে পরিণত হইল। এই রূপে নানা প্রকার ধাতু সকল জন্মিল। পৰ্ব্বতের বন বিভাগ ঐ তেজ স্বারা ব্যাপ্ত হইয়া মুবর্ণময় হইয়া উঠিল । বৎস! সঞ্জীত বস্তুর রূপ হইতে উৎপন্ন বলিয়৷ তদবধি সুবর্ণের নাম জাতস্কপ হইয়াছে । - গঙ্গা হিমালয়ের পর্শ্বে পাশুপত তেজ পরিত্যাগ করিবামাত্র একটি কুমার উৎপন্ন হইল । ইন্দ্রাদি দেবগণ ঐ কুমারকে স্তনপান করাইবার নিমিত্ত কৃত্তিক নক্ষত্রগণকে অনুরোধ করিলেন । কৃত্তিকাগণ এইটি আয়াদিগেরই পুত্র হইবে, এই বলিয়া তৎক্ষণাৎ প্রত্যেকে পর্য্যায়ক্রমে স্তন পান করাইতে প্রবৃত্ত হইলেন। তদর্শনে দেবতারা ভাহাদিগকে কহিলেন, কৃত্তিকাগণ ! তোমাদিগের এই পুত্র কীৰ্ত্তিকেয় নামে ত্ৰিলোকে প্রথিত হইবেন। অনন্তুর কৃত্তিকাগণ স্বদীপ্তিপ্রভাবে হুতাশনের ন্যায়