পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ - রামায়ণ । সমস্ত অস্ত্র আছে, তৎসমুদায়ই আমাতে স্ফৰ্ত্তি লাভ কৰুক । হে দেব’! এই আমার প্রার্থনীয় । আপনার প্রসাদে যেন ইহা সফল হয়। তখন ত্রিনয়ন তথাস্তু বলিয়া তথা হইভে । অন্তৰ্ধান করিলেন । বিশ্বামিত্র ক্ষত্ৰিয় জাভি বলিয়া স্বভাবতই গৰ্ব্বিত ছিলেন, এক্ষণে দেবপ্রভাবে অন্তলাভ করিয়া দৰ্পে পরিপূর্ণ হইলেন । তিনি পৰ্ব্বকালীন সমুদ্রের ন্যায় বল বীর্ষ্যে পরিবর্ধিত হইয়া মনে করিলেন, এইবারে মহর্ষি বশিষ্ঠ নিশ্চয়ই আমার হস্তে নিধন প্রাপ্ত হইবেন । বিশ্বামিত্র এইরূপ স্থির করিয়া পুনৰ্ব্বার বশিষ্ঠের আশ্রমে প্রবেশ পূৰ্ব্বক অস্ত্রবর্ষণ করিতে লাগিলেন । র্তাহার অস্ত্রভেজে তপোবন দগ্ধ হইতে লাগিল । ভদর্শনে মুনিগণ ভাতমনে চতুর্দিকে পলায়ন করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। আশ্রমস্থ শিষ্য ওঁ মৃগপক্ষী সকল আকুলিত মনে চারি দিকে ধাবমান হইল। এইরূপে সেই আশ্রমপদ শূন্যপ্রায় হইয়া মুহূৰ্ত্তকাল কাম্ভারসদৃশ নিস্তব্ধ হইয়া রহিল । তখন বশিষ্ঠদেব উচ্চৈঃস্বরে বারংবার কহিতে লাগিলেন, তোমরা কেহ ভীত হইও না । দিবাকর যেমন নীহারকে সংহার করেন, সেইরূপ আমি এই দুষ্টকে অবিলম্বেই বিনষ্ট করিতেছি। এই বলিয়া তিনি রেীযকষায়িত্ত লোচনে বিশ্বামিত্রকে কছিলেন, রে নরাধম! তুই স্থতি দুরাচার ও মুখ । তুই যখন -