পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকাও ৷ ২২১ প্রায় অবগত হইয়া ক্ৰোধে প্রজ্বলিত হইয়া উঠিলেন, কহিলেন, রে নরাধম! তুই চণ্ডাল হ । তাহারা ত্রিশঙ্ককে এইরূপ অভিশাপ দিয়া উহার মুখাবলোকন পর্য্যস্ত পরিহার করিবার মানসে আতিশ্রম মধ্যে প্রবেশ করিলেন । অনন্তর রাত্রি অতিক্রান্ত হইলে ত্রিশস্তু চণ্ডালত্ব লাভ করিলেন । র্তাহার কলেবর নীলবর্ণ ও কক্ষ এবং কেশ অভিশয় খৰ্ব্ব হইয়া গেল । শ্মশানের মাল্য, চিতাভষ্মের অঙ্গলেপ, লোঁহনির্মিত ভূষণ এবং নীলীরাগরঞ্জিত বসন উপহাকে অতি বিকটদৰ্শন করিয়া তুলিল। উাহার মন্ত্রী ও অনুগত প্রজা সকল তাহার এইরূপ চণ্ডালরূপ দেখিয়া অবিলম্বে র্তাহাকে পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক প্রস্থান করিল। অনন্তুর সেই সুধীর দিবানিশি দুঃখে দগ্ধ প্রণয় হইয়। একাকী বিশ্বামিত্রের নিকট গমন করিলেন । ধৰ্ম্মশীল কৌশিক সেই ভীমবেশ ভগ্নমনোরথ চাণ্ডালরূপী ত্রিশঙ্ককে নিরীক্ষণ করিয়া একান্তু কৃপাপরবশ হইলেন ; কহিলেন, রাজকুমার ! কেমন, তুমি ত কুশলে আছ ? এক্ষণে কি অভিপ্রায়ে আমার নিকট আগমন করিলে ? তোমার আকার দর্শনে বোধ হইতেছে যেন, তুমি কাহারও অভিশাপে চাওলি হইয়াছ। বচনবিশারদ মহীপাল ত্রিশরু, বাগী বিশ্বামিত্রের এইরূপ বাক্য শ্রবণ করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে কৰিলেন, হে সৌম্য! আমি