পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રસાર রামায়ণ । এক্ষণে জিজ্ঞাসা করি আপনি কি আমারই সর্বনাশ করিবার নিমিত্ত এই স্থানে আইলেন ? দেখুন, রামের কোন রূপ । অমঙ্গল ঘটিলে আমরা কি প্রাণ ধারণ করিতে পারিব ? রাজা দশরথ এইরূপ কহিলে জমদগ্নিনন্দন তাহার বাক্যে অনাদর প্রদর্শন পূর্বক রামকে কহিলেন, রাম! দেবশিল্পী বিশ্বকর্ম দুই খানি কার্যুক প্রযত্ন সহকারে নির্মাণ করেন। ঐ দুই ধনু সৰ্ব্বলোকপূজিত সুদৃঢ় ও সারবৎ। তন্মধ্যে তুমি যাহা ভাঙ্গিয়াছ, উহা সংগ্রামান্ধী ভগবান্‌ ব্ৰ্যম্বককে সুরগণ ত্রিপুরান্নুর সংহীর বাসনায় প্রদান করিয়াছিলেন । দ্বিতীয় আমারই হস্তে বিদ্যমান । দেবতারা এই দুৰ্দ্ধর শরাসন বিষ্ণুকে দান করেন । এই পরপুরবিজয়ি বৈষ্ণব ধনু সারাংশে শৈব ধনুরই অনুরূপ । এক সময়ে মুরগণ সর্বলোকপিতামহ ভগবান্‌ কমলাসনকে নীলকণ্ঠ ও বিষ্ণুর বলাবলের বিষয় জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন । সত্যসঙ্কম্প বিরিঞ্চি সুরগণের অভিসন্ধি বুঝিতে পারিয়া উভয়ের বিরোধ উৎপাদন করিয়া দেন । বিরোধ উপস্থিত হইলে শিব ও বিষ্ণু পরস্পর জিগীষাপরবশ হইয়া ঘোরতর যুদ্ধ করিতে লাগিলেন । ইত্যবসরে বিষ্ণু এক হুংকার পরিত্যাগ করিলেন। সেই কুংকার শব্দে ভীষণ শৈব শরাসন শিথিল হইয়া গেল । ৰুদ্র দেবও স্তম্ভিত হইলেন ।