পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ - রামায়ণ । এইরূপে কুশ ও লব সংগীত দ্বারা সৰ্ব্বত্র প্রশংসা লাভ করিতে লাগিলেন । অনস্তুর একদা ঐ দুই ভ্রাতা অযোধ্যার রাজমার্গে রামায়ণ গান করিয়েছেন, এই অবসরে রাজা রামচন্দ্র যদৃচ্ছাক্রমে র্তাহাদিগকে দেখিতে পাইলেন । রাম সেই ভ্রাতৃদ্বয়কে দেখিয়া স্বভবনে আনয়ন পূৰ্ব্ব কর্তাহাদিগকে সমুচিত সৎকার করিলেন । পরে তিনি কাঞ্চন-নিৰ্ম্মিত দিব্য সিংহাসনে উপবেশন করিলে, লক্ষণ প্রভৃতি ভ্রাতৃগণ ও মন্ত্রিবর্গ তাহার সমিধানে উপবিষ্ট হইলেন । তখন রামচন্দ্র সেই বিনীত রূপ-সম্পন্ন কুশ ও লবকে নিরীক্ষণ করিয়া লক্ষণ ভরত ও শক্রয়কে সম্বোধন পূৰ্ব্বক কহিলেন, ভ্রাতৃগণ! তোমরা এই দেব-প্রভাব উভয় ভ্রাতার নিকট বিচিত্র অর্থ ও পদসংযুক্ত উৎকৃষ্ট উপাখ্যান শ্রবণ কর । তিনি লক্ষণ প্রভূভিকে এই কথা বলিয়া সেই গায়ক দ্বয়কে গণন আরম্ভ করিবার আদেশ দিলেন । তখন গায়ক কুশ ও লব উভয়েই শ্রোতৃগণের কলেবর পুলকিত এবং হৃদয় ও মন আহলাদত করিয়া স্বেচ্ছানুরূপ উচ্চস্বরে রাগ রাগিণী সহকারে বীণর ন্যায় মধুররবে সুস্পষ্টভাবে গান করিতে লাগিলেন । শ্রুতি-সুখকর গীতি, সমিতিমধ্যে সকলকে মোহিত করিতে লাগিল । তখন রাজা রামচন্দ্র পুনরায় ভ্রাতৃগণকে সম্বোধন পূৰ্ব্বক । কহিলেন; ভ্রাতৃগণ ! এই তাপস কুশ ও লব মুনিবেশধারী