পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V)。 রামায়ণ । করিতে লাগিলেন । এই যজ্ঞে অন্যথাস্থত ও অজ্ঞানত কোন কাৰ্য্য পরিত্যক্ত হইল না, সকল বিষয়ই মন্ত্ৰপূত ও মঙ্গলযুক্ত হইয়া অনুষ্ঠিত হইতে লাগিল । ঐ দিবসে কোন ব্রাহ্মণেরই স্বকার্ষ্যে শ্রান্তি বোধ হইল না । উহঁদের প্রত্যেককে অনু্যন এক শত অনুচর নিরন্তর পরিচর্য্যা করিতে লাগিল ৷ যজ্ঞস্থলে ব্রাহ্মণ, শূদ্র তপস্বী ও সন্ন্যাসী সকল ভোজন করিতে লাগিলেন । বৃদ্ধ, ব্যাধিএস্ত, স্ত্রী ও বালকের অনবরত আহার করিতে লাগিল ; কিন্তু, কিছুতেই কাহারও তৃপ্তিলাভ হইল না ; প্রত্যুত ভোজ্যদ্রব্যের পারিপ্লাট্যবশত সকলেরই ভোজনস্পৃহা পরিবৰ্দ্ধিত হইয়া উঠিল । অন্ন অনিয়ন কর, প্রদান কর, বস্ত্র দেও সকলেরই মুখে এই কথা শ্রুতিগোচর হইতে লাগিল । নিযুক্ত পুৰুষেরা যাহার যেরূপ প্রার্থনা, অকুষ্ঠিত মনে তাহ পূর্ণ করিতে প্রবৃত্ত হইল । যজ্ঞস্থলে প্রতিদিন পৰ্ব্বতাকার সুসিদ্ধ অমরাশি দৃশ্যমান হইতে লাগিল । যে সকল পুৰুষ ও স্ত্রী নানা দিকৃদেশ হইতে মহাত্মা দশরথের যজ্ঞ দর্শনী হইয়া আসিয়াছিল, তাহারা অন্নপানে প্রচুর পরিতোষ প্রাপ্ত হইল। ভোজনকালে ব্ৰাহ্মণগণ মুসংস্কৃত সুস্বাস্থ অন্ধরসের সবিশেষ প্রশংসা করিয়া কছিলেন, আহে । আমরা সম্পূর্ণ তৃপ্তিসুখ লাভ করিলাম , মহারাজ ! আপনার কল্যাণ হউক । চতুর্দিগে এই