পাতা:রামায়ণ - বালকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালকগু । * 。 এবং অন্যের সৌভাগ্যে দ্বেষভাব প্রদর্শন করিয়া থাকে । সে বরলাভে মোহিত হইয়া সুররাজ ইন্দ্রকে পরাভব করিবার বাসন এবং মহর্ষি যক্ষ গন্ধৰ্ব্ব ব্রাহ্মণ ও অসুরগণকে তাড়না করিতেছে । স্থৰ্য্যদেব ইহাকে উত্তাপ প্রদান ও সমীরণ ইহার পার্শ্বে সঞ্চরণ করেন না । তরঙ্গ-মালা-সঙ্কল মহাসাগর ইহাকে দেখিলে নিম্পন্দ হইয়া থাকে । অণমরা সেই ঘোরদর্শন রণক্ষসের ভয়ে যার পর নাই ভীত হইয়াছি । এক্ষণে কি রূপে সেই দুষ্ট বিনষ্ট হইবে, আপনি তাহার উপায় - অবধারণ করুন । ভগবান্‌ কমলযোনি মুরগণ কর্তৃক এইরূপ অভিহিত হইয়া কিয়ৎক্ষণ চিন্তা করত কহিলেন, দেবগণ ! আমি সেই দুরাত্মার বধোপায় স্থির করিয়াছি । সে বর গ্রহণ কলে আমার নিকট “দেবতা গন্ধৰ্ব্ব যক্ষ ও রাক্ষসের হস্তে মৃত্যু হইবে না' এইরূপ প্রার্থনা করিয়াছিল ; আমি তাহাতেই সম্মত হই । তৎকালে সে অবজ্ঞা করিয়া মনুষ্যের নামও উল্লেখ করে নাই । সুতরাং মনুষ্যের হস্তেই তাহার মৃত্যু হইতে পারে ; ভভিন্ন তাহার বধোপায় আর কিছুই দেখি না । স্বরগণ ও মহর্ষিগণ ব্রহ্মার মুখে এইরূপ প্রিয় বাক্য শ্রবণ করিয়া পরম সন্তোষ লাভ করিলেন । এই অবসরে তপ্ত-কাঞ্চন-কেয়ার-শোভিত নির্মলদ্ব্যতি ত্ৰিজ