পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২ রামেন্দ্রম্বন্দর রচনাসমগ্র বলিতেছেন—“প্রাণোহস্মি প্রজ্ঞাত্মা তং মামায়ুরমুতং ইত্যুপাস্ব”—আমি প্রাণস্বরূপ ও প্রজ্ঞাস্বরূপ, আয়ু:স্বরূপ অমৃতস্বরূপ ; আমাকে উপাসনা কর । ছানোগ্য প্রশ্ন তুলিয়াছেন,—“কতম সা দেবতা ?” উত্তরে বলিতেছেন, “প্রাণ ইতি হোবাচ”—তিনি প্রাণ। এর চেয়ে স্পষ্ট ভাষা আর হইতে পারে না। এই খ্ৰীষ্টকে যেমন Son of God বলা যায়, তেমনি ইহাকে Son of Man বলা হয়। Nicene Creed caề Son of Man si#z# sfẽ sRI*Fg”i <fềICs5U5R, VVho for our salvation became flesh, and lived amongst men, and suffered, and role again on the third day and ascended unto the Father. এইরূপে সংক্ষেপে খ্রষ্টের মনুষ্য-জীবনের কাহিনী বিবৃত হইয়াছে। তিনি মানবের পরিত্রাণের জন্য মানববিগ্রহ ধরিয়া মানবের মধ্যে বাস করিয়াছেন, এবং মানবের জন্য প্রাণ দিয়া তৃতীয় দিনে সমাধি হইতে উত্থান করেন ও পিতার সমীপে উপস্থিত হন। এই জন্য র্তাহাকে Saviourএর বলা হয়। Saviour শব্দের অনুবাদ আপনার শুনিতে চাহেন ? তারাসার উপনিষদে ইহার অনুবাদ পাইবেন—অত্যন্ত পরিচিত ভাষায় অতুবাদ পাইবেন—Saviourএর অনুবাদ তারক ব্রহ্ম | মানবরূপে বা জীবরূপে ঈশ্বরের অবতরণ খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্মের ভিত্তি। যিনি ঈশ্বররূপে অমূৰ্ত্ত, জীবরূপে তিনি মূৰ্ত্তি গ্রহণ করিয়াছেন। র্তাহার ঈশ্বরত্ব যেমন পরিপূর্ণ, তাহার জীবত্বও সেইরূপ পরিপূর্ণ। ঈশ্বরের সহিত তিনি যেমন একাত্মা, জীবের সহিতও তিনি তেমনই একাত্মা। একাধারে তিনি পূর্ণ ঈশ্বর ও পূর্ণ জীব। মনে করিবেন না, মেরীগর্ভে জন্মগ্রহণেই তিনি জীবত্ব পাইলেন ; তিনি অনাদি জীব। মেরীগর্ভে জন্মগ্রহণের নাম Incarnation বা মানববিগ্রহ ধারণ ; কিন্তু তৎপূর্ব হইতেই তিনি জীব— C&R Wl, “He was in the flesh, as before the Incarnation, in the bosom of the Father,” তিনি মানবজন্ম গ্রহণের পূর্ব হইতেই জীবরূপে পিতার সহিত যুক্ত ছিলেন। মৰ্ত্ত্যভূমি হইতে তিরোভাবের পরেও তিনি এই জীবত্ব ত্যাগ করেন নাই। এইরূপে পূর্ণ ঈশ্বরত্ব ও পূর্ণ জীবত্ব তাহাতে চিরতরে fifts oil wits “Two whole ard perfect natures, the Godhead and manhood, were joined together in one person, never to be divided.” এই পূর্ণ ঈশ্বরত্ব এবং পূর্ণ জীবত্বের সম্মিলনে একই Christ ; ঈশ্বরত্ব ও জীবত্ব র্তাহাতে একাধারে মিলিত হইয়া এক হইয়া গিয়াছে। কখনও তাহাতে বিচ্ছেদ ঘটে নাই বা ঘটিবে না । ইতর জীবের সহিত এই খ্ৰীষ্টের সম্পর্ক কিরূপ ? জীব মাত্রই ঈশ্বরের পুত্রস্থানীয় হইয়াও পুত্রের অধিকারে বঞ্চিত ; জীবের অপরাধে উভয়ের মধ্যে একটা দারুণ ব্যবধান দাড়াইয়াছে। এই অপরাধের খ্ৰীষ্টানী নাম Sin—পাপ । অধ্যাপক ডয়সেন দেখাইয়াছেন, খ্ৰীষ্টান যেখুনে বলেন পাপ, বেদপন্থী সেখানে বলেন অবিদ্যা । খ্ৰীষ্টান বলেন, এই অপরাধে জীব তাহার অধিকারচ্যুত হইয়াছিল—এমন কি, ঈশ্বরের সহিত জীবের একটা শক্ৰতা সম্পর্ক—enmity দাড়াইয়াছিল। পিতা করুণাময়—তিনি পুত্রগণকে কোলে টানিয়া লইতে চাহেন—নতুবা তাহার লোয়াস্তি নাই। জীবের পাপ এমন ভীষণ