পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵԵ- রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র সেই মন্ত্রটি শুকুন ; হোতা ইড়াদেবীকে ডাকিতেছেন :– “স্বরূপবর্ষবৰ্ণে এহি”—অয়ি দেবি, তোমার রূপ সুন্দর, বর্ণ সুন্দর, বর্ষণ-শক্তি ( বা উৎপাদন-শক্তি ) মুন্দর ; তুমি এখানে এস। ‘ইমান ভদ্রান দুৰ্য্যান অভ্যেহি”— আমাদের এই সজ্জিত যজ্ঞগুহের অভিমুখে এস। ‘মামমৃত্ৰত নিউ শীর্ষাণি মৃড, ম’— আমরা যে ব্রত লইয়াছি, তাহার প্রতি অনুকূল হইয়া আমাদের শীর্ষে কল্যাণ অর্পণ কর। “ইড়ে এহি, আদিতে এহি, সরস্বতি এহি”—ইড়া তুমি এস, অদিতি তুমি এস, সরস্বতি তুমি এস । “রস্তিরসি, রমতিরসি, স্থনরীরসি,”—তুমি আনন্দময়ী, তুমি আনন্দদায়িনী, তুমি সুন্দরী। “জুষ্টে জুষ্টিং তে অশীয়”—তোমার পূজা করি, তুমি আমাদিগকে প্রতি দাও। "উপহুতে উপহবং তে অশীয়”—তোমাকে আমরা ডাকিতেছি তুমি আমাদিগকে ডাকিয় লও। “সত্য আশীরস্ত যজ্ঞস্য ভূয়াৎ”— এই যজ্ঞে যে আশিস চাহিতেছি, তাহা সত্য হউক । “আরেড়ত। মনসা তচ্ছকেয়ম”— স্থিরমনে তাহার শক্তি লাভ করিব । “যজ্ঞো দিবং রোহতু, যজ্ঞো দিবং গচ্ছতু, যা দেবযানঃ পন্থা তেন যজ্ঞে দেবান অপ্যে।তু”—এই যজ্ঞ দিব্য লোকে আরোহণ করুক, দিব্য লোকে গমন করুক, দেবগণের যে পথ আছে, সেই পথে দেবগণের সমীপে চলুক। "অম্মান ইন্দ্র ইন্দ্ৰিয়ং দধাতু"—যিনি বলবিধাতা ইন্দ্র, তিনি আমাদের বল বিধান করুন। ‘অস্মান রায় উত যজ্ঞা: সচন্ত”—আমরা শ্রেষ্ঠ ধন লাভ করি, আমরা যজ্ঞ লাভ করি। “অস্মাস সন্তু আশিষ: সা নঃ প্রিয়া স্বপ্রতুক্তি: মঘোনা”—অয়ি ইড়ে, তুমি আমাদের প্রিয়া, তুমি বিঘ্নঘাতিনী, তুমি কল্যাণদায়িনী : আমাদের প্রার্থনা পূর্ণ হউক । এই মন্ত্র হইতে ইড়াদেবীর মাহাত্ম্যের কিছু পরিচয় পাইলেন। ইহার আর দুইটি নাম পাইলেন-অদিতি এবং সরস্বতী। দেখা যাক, ইড়াদেবীর আর কোন নাম আছে কি না ? ঋগ্বেদসংহিতামধ্যে ইডার নাম ছড়াইয়া আছে। পশুযাগ প্রসঙ্গে আপ্রীমন্ত্রের কথা বলিয়াছি। প্রধান যাগের পূৰ্ব্বে প্র্যাজ যাগ করিতে হয় । পশু ষাগে এগার জন দেবতার উদ্দেশে এগারটি প্রযাজ যাগ হয় । প্রত্যেক প্রমাজের পূৰ্ব্বে হোতা যে মন্ত্র পড়েন, তাহার নাম আগ্ৰীমন্ত্র। দেবতা এগার জন, কাজেই মন্ত্রও এগারটি । ঋগ্বেদের যে স্থত্তামধ্যে এইরূপ এগারটি আগ্ৰীমন্ত্র থাকে, তাহার নাম আপ্রস্থত্ত । ঋকৃসংহিতার মধ্যে দশটি আল্পীসূক্ত আছে। বশিষ্ঠ, বিশ্বামিত্র, জমদগ্নি প্রভৃতি বড় বড় ঋষি আগ্রীস্থত্ত প্রচার করিতেছেন ; আগ্রীস্থক্তের প্রচারে যেন বিশেষ বাহাদুরি আছে। ষে যজমান যে ঋষির গোত্রে উৎপন্ন, তিনি র্তাহারষ্ট আগ্রীস্বত্ত ব্যবহার করিতেন, অন্যের করিতেন না। ইহাতেও আগ্রীস্থক্তের মাহাত্ম্য বোঝা যায়। আগ্রীস্থক্তের এগার মন্ত্রের এগার দেবতা। অষ্টম দেবতার বেলায় কিন্তু তিনটি নাম একযোগে দেখা যায়—ইড়া, ভারতী, সরস্বতী । গোটাকয়েক আগ্ৰীমন্ত্র শুকুন। “ইড়া সরস্বতী মহী, ত্রিস্রো দেবীর্ময়োভুবঃ, বহিঃ সীদন্তু অশ্রিধঃ”—এই মন্ত্রটি মেধাতিথির। “ভারতীড়ে সরস্বতি, যা বঃ সৰ্ব্বা উপক্ৰতে, তা নশ্চোদয়ত শ্রিয়ে”—এইটি অগস্ত্যের। "অ ভারতী ভারতীভিঃ সঙ্গোষা, ইড়াদেবৈৰ্মমুষ্যেভিরগ্নি, সরস্বতি সারস্বতেভিরর্বাকৃ, তিস্রো দেবীৰ্বহিরেদং সদস্তু"—