পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rbr রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র থাইতে না ই—যথাক্রমে বিধি ও নিষেধ বুঝায়। না’ য়ে র অপর কুটুম্ব ন হে। এ একটি অদ্ভুত ক্রিয়াবাচক পদ। অ : মি ন হি (নই), তু মি ন হ (নং) ; েস ন হে (নয়) ; তিনি ন হে ন (নন) । সমস্তই বৰ্ত্তমান কালের প্র োগ। অতীতে বা ভবিষ্যতে প্রয়োগ দেখি না ; পদ্যে ন হি ব কদাচিৎ দেখা যায়। সংস্কৃত ভূ-ধাতু প্রাক্লতের ভিতর দিয়া বাঙ্গাল হ ও য় ৷ ক্রিয়াতে উপনীত হইয়াছে। না-যুক্ত হ ও য় ৷ হইতে সম্ভবতঃ ন হি’ র উৎপত্তি। মা র I, ধ র i ও রা থা” র মত ন হ । প্রচলিত দেখি না। নিকট-সম্পর্কের আর একটি শব্দ ন হি লে (নষ্টলৈ) সম্ভবতঃ ন । হু ই লে= ন হি লে। সংস্কৃত f বন । শব্দ সাহিত্যে আছে, লোকমুখে বি ন । অর্থে ন ই েল র ব্যব?া। উহাকে বাঙ্গালা অব্যয়ের শ্রেণীতে স্থান দেওয়া যাইতে পারে। দি য় , েচ য়ে, েথ কে, হ ই তে প্রভৃতির সঙ্গে এক শ্রেণীতে বসিবে। ঘুমাও, ন ই েল (যুম না হইলে) অস্থখ হবে,–এ স্থলে ন ই লে= নতুবা । আর একটি ক্রিয়াপদ আছে, না রি = পারি না ; আমি না রি, সে না ের । ইহার প্রয়োগ পথেই বেশী, কদাচিং লোকমুখে। গদ্য সাহিত্যের ভাষায় প্রয়োগ দেখা যায় না। ন i fর ল, ন f রি ব, না রি ছে প্রভৃতি রূপের ভূরি প্রয়োগ মাইকেল মধুস্থদন করিয়। গিয়াছেন। বাঙ্গাল কৃৎ ও তদ্ধিত [সাহিত্য-পবিষৎ-পত্রিকার অষ্টম ভাগের তৃতীয় সংখ্যায় শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় বাঙ্গাল ক্লং ও তদ্ধিত প্রত্যয়েব আলোচনা করেন । ৮ ব্যোমকেশ মুস্তফী পত্রিকার পরবত্তী সংখ্যায় এ বিষণে আরও কিছু আলোচনা করেন। আমি সে সময়ে পরিষৎ-পত্রিকার সম্পাদক ছিলাম। ব্যোমকেশ বাবুর প্রবন্ধে সম্পাদকীয় মন্তব্যরূপে আমি যে কয়টি কথা লিখিয়ছিলাম, তাহাই এ স্থলে প্রকাশ করা গেল । ] খাটি বাঙ্গাল শব্দের অর্থ বিচারকালে ও ব্যুৎপত্তি বিচারকালে কোন একটা প্রদেশের উচ্চারণ ধবিয়া বিচার করিতে গেলে চলিবে না। সম্ভবতঃ এই শ্রেণীর শব্দের অধিকাংশই কোনরূপ প্রাকৃত হইতে উৎপন্ন। সেই প্রাকৃত উচ্চারণ কি ছিল, তাহা এখন বলা কঠিন। হয়ত কোনস্থানে পূর্ববঙ্গের উচ্চারণ সেই মূল উচ্চারণের নিকটবৰ্ত্তী ; কোন স্থানে হয়ত পশ্চিমবঙ্গের উচ্চারণ অধিক নিকট। বিভিন্ন প্রদেশের উচ্চারণ একত্র মিলাইলে সেই মূল উচ্চারণ ধবা পড়িতে পারে। একটা দৃষ্টান্ত লওয়া যাক। মনে কর জ t fল য় । শব্দ। জেলে লিখিলেও ইহার ঠিক চলিত উচ্চারণ প্রকাশ পায় না ; কেহ হয়ত জেলে এইরূপ লিখিয়া, অর্থাৎ মাঝে একটা () চিহ্ন দিয়া, উহার উচ্চারণ প্রকাশ করতে চাহবেন । প্রদেশভেদে ইহার উচ্চাৰণ জ েল ! বা েজ t’লে । সম্ভবতঃ মূল শব্দ জালি ক। সঞ্চত ক' প্রাক্লতে অ’ হইয়া যায়। বাঙ্গালায় আবার শব্দের অন্ত্য স্বরটা দীর্ঘ