পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

oes রামেন্দ্রক্ষন্দর রচনাসমগ্র রাজ্য শাসন কলে চলে, বিদ্যালয়ে শিক্ষাদানও কলে চলে। শাসন-যন্ত্র ও শিক্ষা-যন্ত্র উভয়েরই বিবিধ অবয়ব বর্তমান আছে, কিন্তু সেই সকল অবয়বের মধ্যে পরস্পর যেন একটা সম্বন্ধ বা সহাটহুতি বা সিম্পাথি নাই। প্রথমে শাসন-ষন্ত্রের কথা ভাবিয়া দেখ । সত্য বটে, একজন বর্ষীয়সী গরিষ্ঠচরিত মহারাজ্ঞী ভারত-সাম্রাজ্যের কেন্দ্র স্থলে বৰ্ত্তমান আছেন, এবং চক্রের নেমি যেমন কেন্দ্রের চতুদিকে ভ্রমণ করে, ভারত-সাম্রাজ্যের প্রকৃতি পুঞ্জের নিয়তি সেইরূপ সেই কেন্দ্রের চতুষ্পার্থে বিবত্তিত হইতেছে। কিন্তু সেই কেন্দ্র ও সেই নেমির মধ্যে ব্যবধান এতই অধিক যে, একের সংবাদ অন্যের নিকট পৌছতে পারে কি,ন সন্দেহ। বিশেষতঃ সেই কেন্দ্র ও সেই নেমির মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপনের জন্য যে লৌহদণ্ডে ও শুষ্ক নীরস কাষ্ঠদণ্ডে নিৰ্ম্মিত স্বদীর্ঘ বাহু গুলি স্থাপিত হইয়াছে, তাহাকে ভেদ কবিয়া একের সুখ-দুঃখ, জাল যন্ত্রণা অন্যের নিকট কোন ক্রমেই উপনীত হইতে থারে না। জীবদেহে হৃৎপিগু হইতে যে শোণিতধারা বাহির হয়, তাহা শত সহস্র বৃহৎ ও ক্ষুদ্র ধমনী ও দৈহিক নালীর যোগে শরীরের সর্বত্র সঞ্চালিত হইয় অস্থি-মজ্জ ও স্বায়ু-পেশী প্রত্যেক পদার্থের প্রত্যেক দূরস্থিত কোষের নিকট স্নেহসামগ্রী ও পুষ্টর উপাদান লইয়া যায় ; ও বিশুদ্ধ রক্তধারাবাহিত উপাদানে পুষ্ট ও স্নিগ্ধ ও নবীকৃত হইয় প্রত্যেক কোষ আপন জীবনযাত্রী নুতন বলে আরম্ভ করে। হৃৎপিণ্ড এক্টরুপে প্রত্যেক কোষের যথাসময়ে সংবাদ লয় ও প্রত্যেক কোষ তাহার প্রতিবেশীর ও দূরস্থিত কুটুম্বগণের সংবাদ রাখে ও কেন্দ্রস্থিত হৃৎপিণ্ডের নিকট আবদেন পাঠাইয়া দেয় । আমাদের ভারত-সাম্রাজ্যের শাসনচক্রে এইরূপ সজীবতার কোন চিহ্ন নাই। র্যাহাদের হস্তে শাসনভার ন্যস্ত আছে, তাহার। নিৰ্দ্ধারিত নিয়মের অনুসারে আপন আপন কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য সম্পাদন করিয়া যান ; ঘটিকচিক্রের চাকা হয়ত সব সময়ে যথানিয়মে কৰ্ত্তব্য পালন করে না, কিন্তু শাসন যন্ত্রের প্রত্যেক চক্র বিনা তৈল প্রয়োগে নীরবে কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য সম্পাদন করিয়া চলে, তাহাতে কোন সংশয় নাই। অথবা জড় প্রকৃতি যেমন নিদিষ্ট প্রাকৃত নিয়মের অনুসারে সকল প্রাক্তক ব্যাপার সম্পাদন করিয়া থাকে, তাহার দয়াও নাই, আবার ক্রোধও নাই, প্রেম ও নাই, তেমনই বিরাগও নাই, সেইরূপ প্রেমশূন্য, ঈৰ্ষাশুন্য, ঘৃণাশূন্য, অম্বুরাগ বিরাগ উভয় ভাববিবজ্জিত শাসন-যন্ত্র অহনিশ আপন কাজ করিয়া যাইতেছে, কাহারও মুথের পানে চাহিয়া আপনার কৰ্ত্তব্য পালনে বিরত থাকে না। শাসন-যন্ত্রের যে কয়েকটি বিশেষণ ব্যবহার করিলাম, তাহার সকলগুলি ঠিক হইয়াছে কি না, সে বিষয়ে কাহারও কাহারও সংশয় জন্মিতে পারে, কিন্তু প্রচলিত শিক্ষা-যন্ত্রের প্রতি যদি ঐ সকল বিশেষণ প্রয়োগ করি, তাহীতে বোধ হয় কাহারও আপত্তি ঘটিবে না । বীজগণিত শাস্ত্রে অজ্ঞাত রাশি একটা সাঙ্কেতিক বর্ণ দ্বারা নিদিষ্ট হয়— যেমন ক । ক বলিলে বুঝিতে হইবে, উহার প্রকৃত পরিমাণ কি, তাহা এখনও জানি না। ভারতবাসী প্রজাপুঞ্জের অধিকাংশের নিকট তাহাজের অধীশ্বরী মহারাঞ্জী BBBB BBBS BBBBS BBBBS BBBBS BBDD D B DBBS আমাদের শিক্ষ-ঘরে নেমিপ্রদেশে ঘূর্ণ্যমান বালকবৃন্দের জীবনকেন্দ্র উপাসিত বাগদেবী সরস্বতী নিতান্তই ক। পৌরাণিকের নিকট বাগদেবী বীণাপুস্তকরুঞ্জিক্ট-হস্তাস্বরূপে কল্পিত হইয়াছিলেন, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরও শিক্ষা