পাতা:রামেন্দ্রসুন্দর রচনাসমগ্র প্রথম খণ্ড.djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শবাকথা : ধ্বনি-বিচার ግ¢ হ প ইত্যাদি স্বাভাবিক ধ্বনি মাত্র। রূপকথার রাক্ষসীর ডাক ই * উ মা উ । ঝাউবনের হাউ নিশ্চয় ঐরুপ ডাকিত । ই ! সি র মত ই ! fচ, েই চ কি, হিক , ই ( প, ই ( পা নি প্রভৃতি শব্দও স্বাভাবিক ধ্বনির অনুকরণোৎপন্ন । কামারের হা প র হইতে জোরে মুখ ব্যাদান করিয়া বা ই করিয়া ই ই তুলিবার সময় কণ্ঠ হইতে বাতাসটা বাহিরে আসে ; কিন্তু কোন কণ্ঠধ্বনি হয় না। নারীকণ্ঠের হু লু ধ্বনি হইতে ক্রুদ্ধ জনতার হল । পৰ্য্যন্ত অনুকরণোৎপন্ন। জোরে নিশ্বাস পড়িলে ই া স ফ স শব্দ হয় এবং বেগে দৌড়ের পর ই ! ই ফ - ই করিতে হয়। গাড়ীর এঞ্জিন হু স হু স, হ সহ স, হ স ম স করিয়া চলে। হ ন হ ন করিয়া চলা বেগে চলা । মূচ্ছিত ব্যক্তি চেতনালাভ করিলে হু স শব্দে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে ; চেতনালাভের নাম হু স হওয়া। কামারের হা পড় হ সহ স শব্দে বায়ু উদিগরণ করে। ক্ৰন্দনের শব্দ হ । পুস ; আর স্বানের সময় জলে ডোবার শব্দও হা পুস। হৈ হৈ করিয়া বেড়ান আস্ফালন-সহিত ভ্রমণ ; উহার রূপভেদ হৈ চৈ । আকস্মিক েই চ ক । টানে কোন জিনিসকে ৈই চড়ি য়া লইয়া যাওয়া হেঁ I ত ক স্বভাবের কাজ ; এই কাজে হ-কারের মহাপ্রাণতার পরিচয় পাই । হু ক ? র ভিতরে নিশ্চয় একটা হু স্ক র ধ্বনি গুপ্ত থাকে ; তামাকখোর বলিবেন উহা নিশ্চয় বেদের িহ স্ক : ের র অনুরূপ । হ ! চ শব্দে নর্থ-প্রয়োগে জোরে অঁ । চড় দেওয়ার নাম হুঁ ৷ চ ড় নি। হ টম ট, হুট মুট, হু টু র মূ টু র করিয়া ই টি ! যেন দম্ভের সহিত কঠিন ভূপৃষ্ঠ দলিয়া চলা। হল হল করিয়া হে ল । বা হা ল । আন্দোলনের বেগবত্তার পরিচায়ক | হে লে বা হল হলে সাপ হে লিয় । চলে। বন্ধুর ভূপৃষ্ঠের উপর টানিলে হ র হ র হ র ম র, হ র বর, হু র মুর ইত্যাদি কর্কশ ধ্বনি হয়। অস্থির বাঙ্গাল নাম হ ড় কি উহার কাঠিন্যজ্ঞাপক ? হা ড্রণী জাতি কি এককালে হাড়ের ব্যবসায় করিত ? হ ঠ 1, েই টক l. হু র কে 1, েহ র ফের, হিম শিম, হু টো হু টি, হু টে - চু টি, হ প হপ, হ পাহ প, হ ড়, ম হ ড়, ম, হ ড়, ম ধুম, হ ন হন, BBBBB BB BS BBBBS BBBS BBBS BB BB S BS BB S হি জি বি জি, হা ব লা, হাবু ডু বু, ই া টু, েই ট, হা মা র, হা মরাই, হু ম কি, হা ঈ ম , হু জ ত, হু জুগ, হু বহু, হু বা হু ব, েই া চ ট, ই ! দ , হস্তিকাল প্রভৃতি অগণ্য হ-কারাদি শব্দ মহাপ্রাণ হ-বর্ণের বলবত্তা, বেগবত্তা ও স্থলত বহন করিতেছে। শিশুর হুট হু টু হু টু রি বলিয়া এক পায়ে নাচে আর লাফায় ; বালকের হ | ডু ডু ডু শব্দে খেলা করে। বাঙ্গালা ভাষার ধ্বন্যাত্মক শব্দের আলোচনা এইখানে শেষ করিলাম। বলা বাহুল্য যে, এই আলোচনায় প্রচুর পরিমাণে অনুমান ও কল্পনার সাহায্য লইতে হইয়াছে। বহু স্থলে হয়ত কষ্টকল্পনারও অভাব হয় নাই । ভাষাবিজ্ঞান শাস্ত্রে এইরূপ কল্পনার আশ্রয় না লইলে উপায় নাই। বড় বড় ভাষাতাত্ত্বিকেরাও শব্দের ব্যুৎপত্তি নিৰ্বাচনে প্রবৃত্ত হইয়াও কল্পনাকে উধাও ভাবে উড়িতে ও খেলিতে দিয়া থাকেন। এ দেশের প্রাচীন শাবিক পণ্ডিতেই বল, আর পশ্চিমদেশের আধুনিক শান্ধিকই বল, কল্পনার সাহায্য বিনা কাহারও এ ক্ষেত্রে