পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫితి রামের রাজ্যভিষেক । তদনন্তর, ভরত জাতৃউদেশে, দীনবেশে অরণ্যযাত্রা করিলেন । যথাকালে চিত্ৰকূটপৰ্ব্বতে উপস্থিত হইলে, রামের পর্ণকুটীর ডাহার নেত্রপথে পতিত হইল । তখন তিনি অতিদীনমনে কুটারদ্বারদেশে গমন করিয়া দেখিলেন, রামচন্দ্র মৃগচর্মের আসনে উপবেশন করিয়া, লক্ষ্মণের সহিত মধুরীলাপে কালযাপন করিতেছেন । রামের মন্তকে নবজটাজাল, সৰ্বাবয়ৰে ভস্মলেপন, হস্তে কুশাঙ্গ - রীয়, এবং অধোদেশে বলকলবাস । আয্যের তাদৃশী দশা দর্শনে, ভরত শোকভরে অতিমাত্র অধীর হইয়া, সাশ্রনয়নে, ছ। আয ! বলিয় রামচন্দ্রের পাদমূলে আত্মসমর্পণ করিলেন, এবং উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিতে করিতে কছিলেন, আর্য্য! আমার অপরাধ মাৰ্জ্জন করুন। এই হতভাগ্যের, এই নরাধমের জন্যই আপনার এরূপ শোচনীয় দশ উপস্থিত হইয়াছে । হায় ! আমি যদি পাপীয়সী নিৰ্ম্মম। জননীর দগ্ধোদরে জন্মগ্রহণ না করিতাম, যদি ভূমিষ্ঠ হইবামাত্রই আমার প্রাণবিয়োগ হইত, তাহা হইলে আর আমাকে অায্যের এরূপ অবস্থা দেখিতে হইত না । আমি আর আপনার এ প্রকার অবস্থা দেখিতে পারি না ; আমার হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া যাইতেছে। অায্য ! যদি আমার প্রতি আপনার স্নেহ ও মমতা থাকে, যদি আমার এ পাপজীবন রক্ষা করিতে বসনা হয়, তবে আপনি অচিরে এ ঋষিবেশ পরিত্যাগ করিয়া গৃহে চলুন। আপনার বিরহে রাজ্য উৎসন্ন হইয়া যাইতেছে। রাম, ভরতকে একান্তকাতর ও যার পর নাই বিষগ্ন অবলোকনে, উত্তরীয় বলকলদ্বার তদীয় নয়নের অশ্রুমার্জন করিয়া, সস্নেহমধুরসম্ভাষণে সান্থনা করিয়া কছিলেন, বৎস ভরত ! উঠ উঠ, ধৈয্যাবলম্বন কর, এত কাতর হইতেছ কেন ? আমি এ পয্যন্ত