১ ও ২ রামের রাজ্যাভিষেক । ধ্যায় প্রতিগমন করিয়া, রাজ্যমধ্যে মুনিয়মসংস্থাপন কর । আমি বলিতেছি, ইহার অন্যথাচরণ কখন করিও না । যদি আমার প্রতি তোমার স্নেহ, ভক্তি ও অনুরাগ থাকে, যদি অগ্রজের বাক্যরক্ষা করা অবশ্য কৰ্ত্তব্য হয়, যদি তুমি অনুজধৰ্ম্মপ্রতিপালনে পরাজু,খ নী হও ; তবে অার এ বিষয়ে কোন বাদামুবাদ না করিয়া, शूह গমন কর । ভরত অগ্রজকে অযোধ্যাগমনে একান্ত অনিচ্ছুক দেখিয়া, এবং পাছে আর কোন কথা কহিলে তিনি বিরক্ত হন, এই আশঙ্কায় কোন উত্তর করিতে পারিলেন না । কেবল অধোমুখে মৌনাবলম্বনে অশ্রুবিসজ্জন করিতে লাগিলেন ! অনন্তর যে পর্য্যন্ত অগ্রজমহ শয় অযোধ্যায় প্রত্যাবৰ্ত্তন না করেন, তদবধি তাঙ্গার প্রতিনিধিস্বরূপ থাকিয়া রাজ্যশাসন করিবেন, এই সিদ্ধান্ত স্থির করিয়া ; তিনি রাম ও জানকীকে ভক্তিভাবে প্রণাম করিলেন । পরে ভ্রাতৃভক্তির অসামান্য প্রমাণস্বরূপ অগ্রজের পাদুকাদ্বয় মস্তকে ধারণ করিয়া, অযোধ্যাভিমুখে যাত্রা করিলেন। পথে আসিতে আসিতে সহসা, র্তাহার চিত্তের ভাবান্তর উপস্থিত হইল । অতএব তিনি রামশুন্য অযোধ্যায় না যাইয়া, নন্দীগ্রামে উপস্থিত হইলেন ; এবং তথায় রামপাদুকাদ্বয় চিরায়সিংহাসনোপরি প্রতিষ্ঠিত করিয়া, মন্ত্রিবর্গের সহিত যথানিয়মে রাজকায সমাধা করিতে লাগিলেন । ভরত প্রস্তান করিলে, তাঙ্গার কতিপয় দিবস পরেও লক্ষ্মণ একদী সায়ংসময়ের অভিবাদন করিবার নিমিত্ত রামের নিকট উপস্থিত হইয়া, অভিবাদন পূৰ্ব্বক কছিলেন, আর্য্য! আমাদিগের আর এখানে অধিককাল থাকা কোন মতেই কৰ্ত্তব্য নহে। অয ভরতের ভাবগতিক দেখিয় বিলক্ষণ বোধ হইয়াছে, রাজ্যভার গ্রহণ করা,
