পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>ペ w রামের রাজ্যাভিষেক । ভিমুখে আগমন করিতে লাগিলেন। কিয়দর আসিলে সহসা তাহার চিত্তের ভাবান্তর উপস্থিত হইল। তখন তিনি পথের উভয় পাশ্বে অশুভস্থচক দুন্নিমিত্ত দর্শনে, সাতিশয় শঙ্কিত হইয়া কহিতে লাগিলেন, এমন সময়ে এ আবার কি ? কোথায় প্রিয়ার অভিলাষ পূর্ণ হইল বলিয়া অন্তরে বিপুল সুখসঞ্চার হইবে, না আমার নয়ন যুগল অশ্রুজলে পরিপূর্ণ হইয়া আসিতেছে ; অনবরত বামাক্ষি স্পন্দিত হইতেছে ; হৃদয় কম্পিত হইতেছে, এবং অন্তঃকরণে কতপ্রকার অশিবভাবের আবির্ভাব হইতেছে । বিধাতার কি মনোরথ এ পর্যন্তও সম্পূর্ণ হয় নাই ? আমি রাজ্য, ধন, সুহৃদ, পরিজন, সকল হইতেই বঞ্চিত হইয়া জনশূন্য অরণ্যে বাস করিতেছি, ইহাও কি হতবিধির প্রাণে সহিতেছে না। আবার কি বিপদ ঘটাইবার সংকল্প করিতেছেন । যাহা হউক, অনেকক্ষণ হইল আমি আসিয়াছি, প্রাণাধিক লক্ষ্মণের অথবা প্রাণপ্রিয়া জানকীর ত কোন বিপদ ঘটে নাই। নতুবা আমার চিত্ত কেন এত চঞ্চল হইতেছে ; হৃদয় কেন বিদীর্ণ হইতেছে । এইরূপ চিন্তা করিতেছেন, এমন সময়ে, রাম দূর হইতে লক্ষ্মণকে দেখিয়া কছিলেন, এই যে লক্ষ্মণ দ্রুতপদে এদিকে আসিতেছে ! তবে বুঝি, প্রিয়ার কোন প্রকার বিপদ ঘটিয়া থাকিবে । এই কথা বলিতে বলিতে, অৰ্দ্ধপথে লক্ষ্মণের সহিত তাহার সাক্ষাৎ হইল । তখন রাম কছিলেন, বৎস ! তুমি জানকীকে একাকিনী কুটীরে রাখিয়া কেন আসিলে ? আমি আসিবার সময় তোমাকে ভূয়োভূয় কহিয়াছিলাম, এক মূহূৰ্ত্তও জানকীর কাছছাড়া হইও না । অতএব তুমি কেন এমন করিলে ? ভাইরে ! বোধ হইতেছে আর আমি আশ্রমে গিয়া জানকীকে দেখিতে পাইব না। লক্ষ্মণ কছিলেন,