পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b- রামের রাজ্যাভিষেক । শনে ক্ষমাবৃত্তি ঋষিগণ কেবল উচ্চৈঃস্বরে হাস্য করিতেছেন। ওদিকে দেখুন, যজ্ঞবেদির স্বরে মৃগশিশু সকল কেমন নির্ভয়চিত্তে অনন্যমনে কুসুমমুকুমার তাপসকুমারদিগের হস্ত হইতৃে নীর গ্রহণ করিয়া আন্তে আন্তে চৰ্ব্বণ করতেছে। আর্য্য ! সম্মুখে দৃষ্টিপাত করুন, তপোধন-বালকের পিপীলিকাদিগের আহারার্থ চতুীিৰে শ্যামাৰুতণ্ডুলৰণ স্থাপন করিতেছেন, আর পিপীলিকার ঐ সকল মুখে করিয়া শ্রেণীবদ্ধ হইয়া, কেমন আশ্রমপথের উপর দিয়া গমন করিতেছে । আহা ! ইহাতে আশ্রমপথের কি রমণীয় শোভাই হইয়াছে। বোধ হইতেছে, যেন পথে কে পত্রাবলী চিত্রিত করিয়া রাখিয়াছে। অহো ! তপোবনের কি মাহাত্ম্য। বোধ হয় এখানে মূৰ্ত্তিমতী শান্তিদেবী সাক্ষাৎ বিরাজ করিতেছেন। বাছার প্রভাবে হিংসা, ভয় ক্রোধ, দ্বেষ প্রভৃতি অসংপ্ৰৱত্তির লেশমাত্র নাই। তাহ না হইলে আমরা অপরিচিত ; আমাদিগকে দেখিয়া ভীরুস্বভাব মৃগজাতি কখনই চিরপরিচিতের ন্যায় এরূপ নিৰ্ভয়চিত্তে ইতস্ততঃ বেড়াইতে পারিত না । ফলতঃ তপোবনের যাহা কিছু সকলই অদ্ভুত ও অলৌকিকপ্রীতিপ্রদ। উভয়ে এইরূপে তপোবনের বিষ্কারভূমিতে ভ্রমণ করিতেছেন, এমন সময়ে ভগবান মরীচিমালী গগনমার্গের মধ্যস্থলে উপস্থিত হইয় প্রচণ্ড অংশুজাল নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন । তখন রাম উৰ্দ্ধে দৃষ্টিপাত করিয়া, কছিলেন, বৎস! আমরা মনোহারিণী তপোৰনশোভা সন্দর্শন করিডে করিতে একবারে এরূপ সংজ্ঞাশ্বন্য হইয়া ছিলাম, যে মধ্যাহ্নকাল উপস্থিত হইয়াছে, কিছুই জানিতে পারি নাই। এক্ষণে আর বিলম্ব না করিয়া, ভগবান বিশ্বামিত্রের সন্নিহিত হই, চল। লক্ষ্মণ দূর হইতে দৃষ্টিপাত করিয়া হর্ষোৎফুল্লহদয়ে কহি