পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । ويليا কোলাহল করিতে লাগিল। জামদগ্ন্য নবপরাভবে যৎপরোনাস্তি অপমানিত হইয়া, লজ্জাবনতমুখে তথা হইতে প্রস্থান করিলেন । পূৰ্ব্বে ভার্গবদর্শনে রাজা দশরথ অতিমাত্র ভয়াকুল ও হতবুদ্ধি হইয়া, অজস্র অঞ্জবিসর্জন ও মনে মনে কতই ভকবিতর্ক করিতে ছিলেন, এক্ষণে রামজয়শব্দ তাছার কর্ণকুহরে প্রবিষ্ট হইলে, প্রথমতঃ তিনি উস্থা অলীক বলিয়া আশঙ্কা করিলেন । তৎপরে, ভূগুনন্দন রামচন্দ্রের নিকট পরাজিত হইয়াছেন, এই সংবাদ অসংশয়িতরূপে অবগত হইয়া, আহলাদভরে কি করিবেন কিছুই স্থির করিতে পারিলেন না | ক্ষণকাল কেবল স্তব্ধপ্রায় হইয়া রছিলেন । তদনন্তর সহাস্যবদনে বশিষ্ঠদেবকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ভগবন ! অপত্যস্নেহ কি বিষম পদাৰ্থ । কোন প্রকার গুরুতর ঘটনা উপস্থিত হইলে, সৰ্ব্বাগ্রেই যেন অমঙ্গলের আশঙ্কা হইয়া থাকে । পুৰ্ব্বে, যখন আমি ভৃগুনন্দনের আগমনবার্তা শ্রবণ করিলাম, তৎকালে বোধ হইয়াছিল, যেন আমার জীবন দেহত্যাগ করিয়া পলায়ন করিতেছে! আমি মনে মনে কতই যে কুতর্ক করিতেছিলাম, তাহা ৰলিতে পারি না । একবার ভাবিলাম, কেনই বা বৎস রামচন্দ্র হরধনু ভাঙ্গিলেন, আবার ভাবিলাম, যদি বিশ্বামিত্রের সহিত রামকে না পাঠাইতাম, তাহা হইলে আর এরূপ বিপদ ঘটিত না | পুনরায় ভাবিলাম, যা হবার তা হইয়াছে, এক্ষণে আমি স্বয়ং গিয়া পরশুরামের চরণে ধরিয়া র্তাহাকে প্রসন্ন করি ; তখনই আবার মনে হইল, ভার্গবের লেখ কিছুতেই শান্ত হইবে না। তাছার পর ভাবিলাম যদি বৎসের কোন প্রকার অমঙ্গল ঘটে, তাহা হইলে সেই দণ্ডেই আত্মহত্যা করিয়া এ পাপদেহ বিসর্জন করিব ; তখনই আবার মনে [ ( )