ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । hy করিয়া, পরিশেষে শৃঙ্গবেরপুরে উপনীত হইলেন । মুমন্ত্র রথবেগংবরণ করিলে সকলে রথ হইতে অবতীর্ণ হইয়া, তাপসতরুতলে বিশ্রাম করিতেছেন ; ইত্যবসরে নিষাদপতি গুহক, রামচন্দ্রের শুভাগমন সংবাদ প্রাপ্ত হইয়া তথায় উপস্থিত হইলেন ; এবং একে একে সকলকে অভিবাদন করিলেন । অনন্তর রামচন্দ্রকে সম্বোধনপুৰ্ব্বক, কৃতাঞ্জলিপুটে বিনয়বচনে নিবেদন করিলেন, যুবরাজ ! আপনার চিরাষ্ট্রগত একান্ত আজ্ঞাবহ ভূত্য উপস্থিত হইয়াছে, কি আজ্ঞা হয় ? যদি অনুমতি করেন, তবে এ দাস প্রভূর যথোচিত সেবা করিয়া কৃতাৰ্থতা লাভ করে । রাম, কিরাতরাজের এবস্তুত অভাবিত শিষ্টাচার দর্শনে পরম প্রীত হইয়া, সুহৃদসম্ভাষণে তাহাকে কছিলেন, মিত্ৰ ! তোমার বিশিষ্ট বিনয়, শীলতা ও সরলভাগুণে সবিশেষপরিতোষ প্রাপ্ত হইলাম। আমাদের নিমিত্ত তোমাকে কিছুমাত্র কষ্ট করিতে হুইবে না । আমরা বমবাসে আদিষ্ট হইয়াছি ; রাজভোগ একবারে বিসৰ্জ্জন দিয়াছি । অধুনা অামাদিগকে তপস্বি সেবিত বনে বাস করিয়া, বন্যৱত্তি অবলম্বন করিতে হুইবে । এই বলিয়া, রাম অন্যান্য সকলের সহিত, পরমসমাদরে গুহক আনীত ফলমুলাদি ভক্ষণ করিলেন । অনন্তর গুহকের সহিত অরণ্যরত্তান্ত-সম্বন্ধীয় নানা কথাপ্রসঙ্গে, সে দিন তথায় অতিবাহন করিলেন । পরদিন প্রভাতে, রাম সীতা ও লক্ষ্মণের সহিত ভাগীরথীর নিৰ্ম্মলপাবনসলিলে অবগাহন করিয়া, প্রাতঃকৃত্যাদি সমাপন করিলেন । তদনন্তর উদেশে, পিতৃমাতৃচরণে অভিবাদন করিয়া, সুমন্ত্রকে সম্বোধন পূৰ্ব্বক কছিলেন, সারথে আমরা ভাগীরথীতীরে সমাগত হইয়াছি। অতএব তুমি এইস্থান হইতেই রথ লইয়া অযো
