পাতা:রামের রাজ্যাভিষেক.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bー。 রামের রাজ্যাভিষেক । অবলম্বন করুক না কেন, সকল অবস্থাতেই রমণীয় ও অনিৰ্ব্বচনীয় প্রীতিপ্রদ হয় । তদনন্তর সকলে, তরণীতে আরোহণ করিয়া, ভাগীরথীর পরপারে উত্তীর্ণ হইলেন । তখন রাম লক্ষ্মণকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, বৎস! নিষাদপতির প্রমুখাৎ শ্রবণ করিয়াছি, এখান হইতে মহর্ষি ভরদ্বাজের আশ্ৰম অধিক দূর নহে। অদ্য আমরা সেই স্থানেই গমন করিব । এই বলিয়া, রাম অগ্রে, জানকী মধ্যে ও লক্ষ্মণ সৰ্ব্বপশ্চাতে, এই ভাবে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া, সকলে দক্ষিণাভিমুখে গমন করিতে লাগিলেন । আহা ! সে সময়ের কি আশ্চৰ্য্য ভাৰ । বোধ হইল, যেন সাক্ষাৎ ধৰ্ম্ম অধৰ্ম্মের ভয়ে ভীত হইয়া, কোশলরাজ্য পরিত্যাগপূর্বক নির্জনকাননে প্রবেশ করিতেছেন ; আর, স্বয়ং রাজলক্ষ্মী তদীয় অনুসরণে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, এবং মূৰ্ত্তিমানূরঘুকুলযশোরাশি, তাছাদের পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিতেছেন। জানকী ঔৎসুক্যবশতঃ কিয়ৎপদ সবেগে গমন করিয়া, বন্ধুর ভূভাগে পুনঃ পুনঃ কুসুম কোমল পদে স্বলিত হওয়াতে, মানবদনে প্রাণপতিকে কছিলেন, আযfপুত্র । আর কতদূর গেলে মহৰ্ষির তপোবন দৃষ্ট হইবে । রাম প্রিয়ার কাতরতা শৰণে অতিমাত্র বিষাদিত হইয়া ভাবিতে লাগিলেন, হায়! সামান্য পথ- , পর্য্যটনে যাহার এরূপ কষ্টবোধ হইতেছে, না জানি তিনি চতুর্দশ বৎসর কেমন করিয়া বনে বনে ভ্রমণ করিবেন। এই বলিয়া রাম অশ্রুজল বিসর্জন করিতে লাগিলেন । সীতার জন্য যে, রামের নিরন্তর নেত্রবারি বিগলিত হইবে, এই তাহার প্রথমাবতার झइँज । অনন্তর, রাম জানকীকে কহিলেন, প্রিয়ে! তোমার মন্থরগতি