আবছায়া তার ধূমভরা ক্লান্ত দেহটায় জড়িয়ে রয়েছে! আর একটু পরেই এমন সুন্দর প্রকৃতি বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করে’ জেগে' উঠ্বে, তারপরে সেই তেম্নি নিত্যকার গোলমাল!
এখন বোধ হচ্ছে যেন সমস্ত দেশটা এইমাত্র বিছানা ছেড়ে’ উঠে, উদাস-অলস নয়নে তার চেয়েও উদার আকাশটার দিকে চেয়ে রয়েছে! এখনও তার আঁখির পাতায় পাতায় ঘুমের জড়িমা মাখানো! হাঁইতোলার মত মাঝে মাঝে দম্কা বাতাস ছুটে আস্ছে!
পাকা তবল্চির মত রেলগাড়ীটা কি সুন্দর কার্ফা বাজিয়ে যাচ্ছে, “পাঁটা কেটে ভাগ দিন্-পাঁটা কেটে ভাগ দিন্!” ইচ্ছা কর্ছে রেল-চলার এই কার্ফা তালের তালে তালে একটা ভৈরো কি ঢোড়ী রাগিণী ভাজি, কিন্তু গান গাইবার মত এখন আদৌ সুর নেই যেন আমার কণ্ঠে।
নিশি শেষের গ্যানের আলো পড়ে’ আমাদের মুখগুলো কি করুণ ফ্যাঁকাসে দেখাচ্ছে! ঐ ফ্যাকাসে আলোর পাণ্ডুর আভা প্রতিভাত হয়ে আমার ঘুমন্ত সৈনিক-বন্ধুদের সিক্ত নয়ন-পল্লবগুলি