পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

නේඥත රබition] 1 Sy) জাপানী সেনাগণের মুখে একটী কথাও নাই। তাহারা কলের পুত্তলির ন্যায় জাহাজ হইতে অবতীর্ণ হইয়া তীরে উঠতেছে। সকলই যেন কলে হইতেছে। ক্ষুদ্রকায় সবল সুস্থ বলিষ্ঠ জাপানী সৈন্যগণ ধূসর বংয়েব পোষাক, মস্তকে ক্ষুদ্র টুপি, পায় জুতা ও পট্টি, পৃষ্ঠে কম্বল প্রভৃতি, স্কন্ধে সঙ্গিন ও বন্দুক লইয়া স্তবে স্তরে জাহাজ হইতে তীরে অবতীর্ণ হইতেছে। দুই প্রহর বান্ত্রেীব মধ্যে তিনি সহস্ৰ জাপানী সেনা জাহাজ হইতে তীবে আসিণ্য ; তখন তাহদের সেনাপতি জুজুটলুম কিগাসি একটু বিশ্রাম কবিতে প্ৰস্থান কবিলেন ; কিন্তু রাত্রি প্রভাত হইবার পুকোহ তিনি চিমলপো বন্দরকে জাপান রাজ্যভুক্ত করিয়া তথায় কিয়াৎ সৈন্য বাখিয়া বহুতব সৈন্য লইয়া কোরিয়াব রাজধানী সিওলের দিকে অভিযান করিলেন । এই ৮ই ফেব্রুয়ারি রাত্ৰে প্ৰকৃত পক্ষে রুষ-জাপান যুদ্ধ আবিস্ত হইল । জাপানী আড়ামিরাল উরিউও নিশ্চিন্ত রহিলেন না। তিনি ভোর চারিটার সময় রুষ জাহাজ ভারিয়াগোিব কাপ্তেন রূড়নেফকে সংবাদ দিলেন যে যদি বৈকালে ৪টাব পাব কোন রুষ জাহাজ বন্দরে থাকে, তবে তিনি তাহ আক্রমণ করিতে দ্বিধা কবিবেন না । মহা অহঙ্কারী রূষের পক্ষে ইহাপেক্ষা শোচনীয় অবস্থা আর কিছুই হইতে পারে না। এই দুই রুষ জাহাজেব জাপান রণপোতেব সহিত যুদ্ধ করিয়া জয়াশা ছিল না। রুষ যোদ্ধাগণ বুঝিলেন যে পোর্ট আর্থারে তাহাদের যে সকল বৃহৎ যুদ্ধপোত আছে, তাহদের সাহায্যে আসিবার কোনই সম্ভাবনা নাই । নিশ্চয়ই জাপানীগণ এই সময়ে সেই সকল জাহাজের সহিত যুদ্ধ করিয়া বা অন্য কোন উপায়ে তাহাদিগকে চিমলপোতে আসিতে দিবে না । এক্ষণে হয় পবাজয় স্বীকাব করিয়া জাপানীদিগের হস্তে রুষের এই দুই যুদ্ধপোত প্ৰদান করিতে হয়, অথবা সমুদ্র গর্ভে নিশ্চিত মৃত্যু। কাপ্তেন রুড়নেফ মহাযোদ্ধা ছিলেন। তাহার সমভিব্যাহারী রুষগণও