পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RRbro রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । তাহারা যদি কোন সময়ে পোর্ট আর্থারেব যুদ্ধপোতের সহিত মিলিত হইতে পারে, তাহা হইলে রুষ-যুদ্ধপোত মহা প্ৰবল হইয়া উঠিবে। এদিকে যত দিন যাইতেছে, ততই রুষের বলটিক সমুদ্রেব জাহাজ সকলের আসিবার সম্ভাবনা হইতেছে! সুতরাং এই ছয় মাসে জাপান জলযুদ্ধে যে রুষেবা বিশেষ কিছু করিতে পারিয়াছেন, তাহ বলা যায় না । টোগোকে সেইরূপই পোর্ট আর্থার পাহাবা দিতে হইতেছে । তবে তিনি যে নানসানের যুদ্ধে জাপান-সেনার সহায়তা করিতে পারিয়াছিলেন, ইহাই তেঁাহার আনন্দ । এখন শীঘ্ৰ পোট আর্থব দখল কবিতে না পারিলে, ভবিষ্যতে জাপানের জন্যাশা নাই। একবার পোর্ট আর্থাব দখল হইলে, সমস্ত যুদ্ধপোন্তই তঁহাদেব হন্তে পতিত হইবে ; তখন তাহাবা অনায়াসে ভূডিভস্টকের জাহাজ কযখানির ইহলীলা শেষ কবিতে পাববেন । স্থলেও ঠিক এই অবস্থা ঘটিযাছে। জাপানিগণ বড় বড় যুদ্ধ জয করিয়াছেন বটে, কিন্তু তাহাতে শক্রগণেব যুদ্ধ-ক্ষমতা হ্রাস পায় নাই। তাহারা একস্থান হইতে হটিয়া গিয়া আবাব অন্য স্থানে প্ৰবল পরাক্রমে যুদ্ধ করিতেছে! জাপানিগণকে প্রতি পদেই মহাবেগ পাইতে হইতেছে। ইহাকে প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধ জয় বলা যাইতে পারা যায় না। লিওযাংয়ে ধাবা বাহিক রূপে রুষ-সেনা আসিতেছে। যতই সময় উত্তীৰ্ণ হইবে ততই তথায় রুষ-সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি হইবে, তখন তাহদের পরাজিত করা দুঃসাধ্য হইয়া পড়িবে। রুষ ও জাপান এই ছয় মাস অবিশ্রান্ত যুদ্ধ করিয়া উভয়ে উভয়কে চিনিয়াছেন । উভয়ে উভয়ের প্রবলতা ও দুর্বলতা অবগত হইয়াছেন। জাপানিগণ পোর্ট আর্থার অধিকার ও লিওযাং যুদ্ধের জন্য ব্যগ্ৰ হইয়া উঠিয়াছেন ; রুষগণ এই দুই স্থান রক্ষার জন্য প্ৰাণপণ চেষ্টা পাইতেছেন-ভবিষ্যতের গর্ভে কি লিখিত আছে, কে বলিতে পারে ?