পাতা:রুষ-জাপানি যুদ্ধের ইতিহাস - নলিনীবালা ভঞ্জ চৌধুরাণী.pdf/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nor রুষ-জাপান যুদ্ধের ইতিহাস । আহারীয় দ্রব্য, কয়লা প্ৰভৃতিও বিক্রয় করিতে লাগিলেন । ইহার উপর জাৰ্ম্মাণ-সম্রাট প্রকাশ্যভাবে রুষের সহিত সহানুভূতি প্ৰকাশ করিতে দ্বিধা করিলেন না। ইহাতে জাপান যে বিরক্ত হইবেন, তাহাতে আশ্চৰ্য্য কি ! নানা ভাবে এই বিরক্তি প্ৰকাশ হইতে লাগিল,-এমন কি উভয় পক্ষেই যুদ্ধ ঘটিবার সম্ভাবনা হইল। তবে জাৰ্ম্মানি জানিতেন যে বহুদূরে গিয়া তঁহাদের জাপানের সহিত যুদ্ধ করিবার সুবিধা নাই! তাহদের যুদ্ধপোত সকল অত দুরে লইয়া যাইবারও সুবিধা ছিল না, কাজেই জাৰ্ম্মাণি সাবধান হইয়া গেলেন। তঁহারা যে এ যুদ্ধে সম্পূর্ণ নির্লিপ্ত, তখন তাহাই প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন। এ বিপদের ও এ ভীষণ যুদ্ধের সম্ভাবনা একরূপ মিটিয়া গেল। জাপান ইহাতেই সন্তুষ্ট থাকিতে বাধ্য হইলেন । এদিকে লিওযাংয়ের যুদ্ধে পরাজয় সংবাদ পাইয়া রুষ-সম্রাট যথা সম্ভব শীঘ্ৰ ত্যাহ্বার বলটিক সমুদ্রের যুদ্ধপোত সকল পোর্ট আর্থারে প্রেরণের জন্য চেষ্টা পাইতে লাগিলেন। এতদিনে সহস্ৰ সহস্ৰ লোক দিনরাত্রি পরিশ্রম করিয়া যুদ্ধপোতগুলি কৰ্ম্মক্ষম করিয়া তুলিয়াছে! রুষের যেরূপ বন্দোবস্ত, তাহাতে তাহারা যে স্বদেশের নৌ-বাহিনী দূর পোর্ট আর্থারে প্রেরণ করিতে পরিবে, তাহ কেহ কখনও বিশ্বাস করিতে পারেন নাই। তবে মানের দায়, বড় দায়-তাহাই রুয়গণ কোন গতিকে অজস্র অর্থ ব্যয়ে তঁহাদের যুদ্ধপোতগুলি দূর প্রাচ্যে প্রেরণে প্ৰস্তুত করিলেন। ২০শে জুন সম্রাট তাহার সমস্ত অমাত্যবর্গের সহিত বহুক্ষণ পরামর্শ করিতে লাগিলেন । বহুক্ষণ পরামর্শের পর স্থির হইল যে সেপ্টেম্বর মাসের প্রারম্ভেই জাহাজ সকল উত্তর সমুদ্র পরিত্যাগ করিয়া আফ্রিকা প্ৰদক্ষিণ করিয়া জাপানের দিকে যাইবে। এতদূর হইতে, পৃথিবীর এক প্ৰান্ত হইতে অপর প্রান্তে, বহু যুদ্ধপোত প্রেরণ করা সহজ কাৰ্য্য নহে । পথে কয়লা সংগ্ৰহ এক গুরুতর কথা ! কোথায় এই সকল জাহাজ কয়লা পাইবে, তাহাই সকলে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলেন। অবশেষে