भ]कड़ी । SS যাইয়া মালতীর গর্ভধারিণীকে দেখিতে পান। মালতীর মা গৃহস্থকন্যা ও বিধবা ; নীলাম্বর যে বাসায় ছিলেন, সেই বাসার পার্শ্বেই মালতার মায়ের বাড়ী ছিল। নীলাম্বর মকদ্দমা করিতে যাইয়া যথেষ্ট অর্থ ও পাইলেন, মালতীর মাকেও লাভ করিলেন। উভয়ে কলিকাতায় আসিলেন ; নীলাম্বর মালতীর মায়ের জন্য স্বতন্ত্র বাড়ী ভাড়া করিয়া দিলেন । মালতীর মায়ের নাম সরস্বতী । তিনি রূপেও সরস্বতী, গুণেও সরস্বর্তী। সরস্বতী বাল্যবিধবা ছিল, বাপের আদুরে মেয়েও ছিল । সরস্বতী বাপের আদরে থাকিয়া বেশ লেখাপড়া শিখিয়াছিল ; বাঙ্গালা, ইংরেজি, সংস্কৃত, মন্দ জানিত না । সরস্বতীর যখন পূর্ণযৌবন, তখন বাঙ্গালায় বিধবাবিবাহের বিষম হুজুগ উঠিয়াছিল। একদিকে ৮ বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শাস্মদীয় আলোচনা ও আন্দোলন, অন্যদিকে ব্ৰাহ্মসমাজের তাড়না ও গঞ্জনা । বিধবাবিবাহের আইন পাশ হইয়াছে, বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজ ব্যয়ে অনেকগুলি বালবিধবার সদগতি করিয়াছেন, ব্ৰাহ্মসমাজেও বিধবাবিবাহের ধুম পড়িয়া গিয়াছে। এতই জোর হুজুক যে, তখন মনে হইত, বুঝি আর কেহ কুমারীবিবাহ করিবে না, সকলেই কেবল বিধবাবিবাহ করিবে। তখন শিক্ষিত বাবু সমাজে বিধবাবিবাহের বিপক্ষে কোন কথা কহিলে মারা খাইতে হইত। এই সময়ে সরস্বতী নীলাম্বরকে দেখিল । সরস্বতী খবরের কাগজ পড়ে ; নীলাম্বর হাইকোটের উকীল, ব্ৰাহ্মসমাজের উৎসবে যাইয়া চক্ষু বুজিয়াও থাকেন। নীলাম্বর সরস্বতীকে দেখিয়া কঁদিলেন,--দেশের ভাবনা ভাবিয়া কঁদিলেন, সরস্বতীর ভাবনা ভাবিয়া কঁদিলেন, সমাজকে গালি দিলেন, বাঙালী
পাতা:রূপলহরী - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৫
অবয়ব