ফুল-কুমারী। V) ধমকাইত; আমি রাজকৃষ্ণকে ভয় করিতাম, একটু ভালও বাসিতাম । আমার এক ননদের স্বামী গয়ায় মুন্সেফ ছিলেন, আমরা আরায় আসিয়াছি শুনিয়া, বড়দিনের ছুটিতে র্তাহারা স্বামি-স্ত্রী আমাদিগকে দেখিতে আসিলেন। মুন্সেফঘরণী আমার এই মানদিনী, আরায় আসিয়া অবধি আমাকে দুই চক্ষের বিষ দেখিতে লাগিলেন ; তঁাহার নিন্দা-পরিবাদ-তিরস্কার-গঞ্জনা প্ৰথম প্রথম আমার ভাল লাগিতা। কেন না, বিবাহ হইয়া অবধি আমি কেবল । আদর খাইয়াছি-আব্দর পাইয়াছি, আদরে আমার বিতৃষ্ণা হইয়াছিল, তাই ননদের তিরস্কার প্রথম প্রথম ভাল লাগিয়াছিন্ত্র । কিন্তু এই নানদিনী শেষে আমার কালস্বরূপিণী হইলেন। । ( . ) আমি যে কক্ষে শয়ন করিতাম, সেই কক্ষের পাশ্বে একটি পাথরুম্ ছিল। বাথরুমের পূর্বদিকেই রাজকৃষ্ণের শয়নকক্ষ ছিল। ১লা জানুয়ারী ইংরাজী নূতন বর্ষের নূতন দিন। আমার স্বামী পাকিপুরে গিয়াছেন, আমি এবং আমার প্রখরা ননদিনী, আমরা দুই জনেই কক্ষে শয়ন করিয়া # আছি। রাত্রি বারটা বাজিয়া গিয়াছে, একটু বির ঝির করিয়া বৃষ্টি পড়িতেছে। পৌষমাসের শেষ, পশ্চিম বেহারের ভীষণ শীতে আমরা কঁাপিতেছি । আমি একবার বাথরুমে যাইলাম, ফিরিয়া আসিয়া আগুনের আংটার कांटछ उाथन उात्रिल्ड दनिशाम । आमाद्र नमतिनी खेलिन, তিনিও বাথরুমে প্রবেশ করিলেন, কিন্তু তৎক্ষণাং ফিরিয়া আসিয়া আমার প্রতি তীব্র দৃষ্টি করিয়া তিরস্কারের স্বরে বলিলেন, “বাউ ।
পাতা:রূপলহরী - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১
অবয়ব