পাতা:রূপলহরী - পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( so ) পাজারভাঙা দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়াটিকান্তিচন্দ্ৰ উদাসীনয়নে বাগানের দিকে চলিয়া গেলেন। তিনমাস দোপাটির সাধনা করিয়াও তাহাকে নিজের করিতে পারেন নাই বলিয়া সুরূপ : আশ্রয়ের আশায় গিয়াছিলেন ; স্ত্রী হইয়া সুরূপ তাহা দূর করিয়া দিল ; জালা জুড়াইবার জন্য,--বুকের বোব: নামাইবার জন্য কান্তিচন্দ্ৰ আর কোথায় যাইবেন ? ধীরে ধীরে কান্তিচন্দ্ৰ আবার সেই বাগানে গিয়া উপস্থিত হইলেন। সন্ধ্যা তখন উত্তীর্ণ হইয়াছে, আকাশের পূৰ্ব্বকোণে চাদ উঠিয়াছে ; গ্রীষ্মকাল, ঝিাবুঝির করিয়া একটু হাওয়া বাহিতেছে, বাগানে বেলা-চামেলি-জুইফুল ফুটিয়াছে, সৌরভেদশ দিক্‌ আমোদ করিয়াছে। দোপাটি ফুলের হার, ফুলের বলয়, ফুলের মুকুট পরিয়া, বনবালা সাজিয়া, নাচিয়া নাচিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছে, একরাশি চুলের উপর থরে থরে চম্পকের মালা সাজান আছে ; দোপাটির অপরূপ রূপ! ভগ্নহৃদয় কান্তিচন্দ্ৰ উদাসমনে যাগানে প্ৰবেশ করিলেন। উপরে চাদের আলো, নীচে ফুলের স্মালো, আর এই দুই আলোর মধ্যবত্তিানী হইয়া দোপাটি নিজের রূপের আলোর সহিত ফুলের আলো মিশাইয়া চাদের আলোয় যেন ভাসিয়া ভাষিয়া বেড়াইতেছে ; কান্তিচন্দ্রের বিষাদ গেল, নৈরাশ্য দূর হইল। কান্তিচন্দ্ৰ ভাবিলেন, দেখি কোনটা; উপরে আকাশ, আকাশের চাদ দেখিব,-না নীচে বাগান, বাগানের ফুল দেখিব,-না নানাপুষ্পাভরণভূষিত কুল্লারবিন্দবদনা কিশোরী বনদেবীকে দেখিব। কান্তিচন্দ্র বিহ্বল