৯৮
রূপসী বোম্বেটে
হইয়াছিল; সেই নারীহন্তা বিশ্বাসঘাতক ভৃত্যকে তাহার প্রভুকন্যা স্বহস্তে গ্রেপ্তার করিয়া আনিয়া যদি তাহার বিশ্বাসঘাতকতার উপযুক্ত দণ্ড দানে উদ্যত হইয়া থাকে, তবে আশা করি পরমেশ্বর তাহার সে অপরাধ মার্জ্জনা করিবেন।”
আমেলিয়ার কথা শুনিয়া প্রেসিডেন্ট পিয়ারসনের লোমাঞ্চ হইল; তিনি বিস্ফারিত নেত্রে আমেলিয়ার মুখের দিকে চাহিয়া সবিস্ময়ে বলিলেন,“আপনার কথার অর্থ বুঝিতে পারিলাম না।—আপনি কে?”
আমেলিয়া বলিলেন, “পূর্ব্ব-কথা ভুলিয়া না থাকিলে সহজেই আমার কথার অর্থ বুঝিতে পারিতে। আমি কে, তাহা এখনও। বুঝিতে পার নাই? আমি মিঃ কার্টারের কন্যা—আমেলিয়া কার্টার, যাহাকে তোমরা ‘রূপসী বোম্বেটে’ বলিয়া জান,ও যমের মত ভয় কর।—সেই যম স্বয়ং তোমাকে গ্রেপ্তার করিয়া আনিয়াছে।”
প্রেসিডেন্ট পিয়ারসন বিস্ময়ে চক্ষু দু’টি কপালে তুলিয়া-অস্ফুট স্বরে আর্ত্তনাদ করিলেন, বলিলেন, “রূপসী বোম্বেটে! জন কার্টারের কন্যা বোম্বেটেগিরি করিতেছে!—আমি কি স্বপ্ন দেখিতেছি?”
আমেলিয়া গম্ভীর স্বরে বলিলেন, “না, স্বপ্ন নহে সত্য; ‘জিমি’ যদি ছয় বৎসরের মধ্যে জিগস্ খনির ডাইরেক্টরের পদ হইতে একটি স্বাধীন রাজ্যের নির্ব্বাচিত রাজা হইতে পারে, তাহা হইলে জন কার্টারের কন্যাকে সেই সময়ের মধ্যে বোম্বেটে দলের অধিনায়িকা হইতে দেখিলে ‘জিমি’ পিয়ারসনের বিস্মিত হইবার কারণ নাই। কে প্রতিভার গতি রোধ করিবে?”
প্রেসিডেন্ট পিয়ারসন বলিলেন, “আমেলিয়া কার্টার আজ বোম্বেটে সর্দ্দারণী?—কি আশ্চর্য্য!”।
আমেলিয়া বলিলেন, “হাঁ বোম্বেটে;, আমি বোম্বেটে সর্দ্দারণী,