৭০
রূপসী বোম্বেটে
তোমার সন্ধান পাইবে না; আজ রাত্রেই যাওয়া ভাল। এখন তোমাকে কি করিতে হইবে মন দিয়া শোন।”
মিঃ ব্লেক কয়েক বার চুরুট টানিয়া বলিলেন, “তুমি সাল্ভেরিটায় উপস্থিত হইয়া সিনর মার্টিনার সহিত সাক্ষাৎ করিবে, এবং তাঁহার নামে আমি যে পত্র দিব, তাহা তাঁহাকে দিবে। সিনর মার্টিনা এহন অস্থায়ীভাবে সেখানকার প্রেসিডেন্টের পদে নিযুক্ত আছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট পিয়ারসনের বিরুদ্ধ দলের লোেক, কিন্তু সেজন্য তোমার। কোন অসুবিধা হইবে না; কারণ, তুমি কি উদ্দেশ্যে সেখানে গিয়াছ, তাহা তিনি জানিতে পারিবেন না। কেবল তাঁহাকে কেন, সেখানে কোনও লোককে তোমার প্রকৃত উদ্দেশ্য জানিতে দিবে না। কিছু দিন পূর্ব্বে আমি যখন পোর্টো কষ্টায় গিয়াছিলাম, সেই সময় সিনর মার্টিনার কোনও উপকার করিয়াছিলাম, সে কথা তিনি এত শীঘ্র ভুলিয়া যান নাই; সূতরাং তিনি আমার পত্র পাইলে নিশ্চয়ই সাধ্যানুসারে তোমাকে সাহায্য করিবেন। তাঁহার ন্যায় ক্ষমতাশালী পদস্থ লোকের সাহায্যে তোমার অনেক কাজে র সুবিধা হইবে; অনেক কাজ সহজ হইবে। তুমি যাহাতে কোনও অসুবিধায় না পড়, এইজন্যই চিঠি দিতেছি।
সাল্ভেরিটার রাজধানী পোর্টো কষ্টায় এখন খুব গণ্ডগোেল চলিতেছে, তাহা সেখানে উপস্থিত হইলেই দেখিতে পাইবে। সেখানে এখন ইচ্ছামত সকল স্থানে যাইতে পারিবে না, পদে পদে বাধা পাইবে; এ অবস্থায় সিনর মার্টিনা যদি তোমার সায় থাকেন, তাহা হইলে হঠাৎ কেহ তোমার কোনও কাজে বাধা দিতে সাহস করিবে না।
“সিনর মেন্ডোজা বিশ্বাস—সাল্ভেরিটা রাজ্যের আদিম