পাতা:লক্ষটাকা - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

98 লক্ষ টাকা এই বলিয়া রমণী বসিয়া পড়িল-মূচ্ছিত প্ৰায় হইল, পুলিস-কৰ্ম্মচারী তাহার মুখে-চোখে জল দিয়া বলিলেন, “অধীর হইতে নাই— মরণ-বাচন সকলেরই আছে, একটু স্থির হইয়াছেন ? মৃতদেহ দেখিতে চাহেন - ভাল-দেখা আবশ্যক, সেনাক্ত হওয়া চাই । আসুন, এইদিকে, এই ঘরে-ঐখানে আছে।” সপ্তম পরিচ্ছেদ তুলসী বাঈ রমণী কেবল একদৃষ্টি মৃতদেহ দেখিল, তৎপরে পাগলের ন্যায় হাসিয়া উঠিল, তৎপরেই ক্ৰন্দন করিয়া উঠিয়া মূচ্ছিতা হইয়া ভূপতিত হইল। সে তাহার স্বামীকেই মৃত দেখিবে ভাবিয়াছিল, কিন্তু দেখিল, আর এক ব্যক্তি । যখন তাহার জ্ঞান হইল, তখন সে দেখিল, সে ডেকের উপরে শয়ন করিয়া আছে । রাত্ৰি হইয়াছে, তাহার নিকটে কেহ নাই, জাহাজের মধ্যে মধ্যে আলো জ্বলিতেছে ? সে নড়িল না, এখন কি করা উচিত, তাহাই সে ভাবিতে লাগিল। একটা কিছু ভয়ানক হইয়াছে । তাহার স্বামীর নাম ধরিয়া কেহ এই জাহাজে আসিতেছিল, কে তাহাকেই বা খুন করিল। সে তাহার স্বামীর সকল কথাই জানিত । काश्छे डाश्ांश qऊँ उम्र । হারকিষণ দাস যথার্থই চাষা ছিলেন, নাম-সই ব্যতীত তাহার আর অধিক বিদ্যা ছিল না। তাহার চিঠিপত্র লিখিবার জন্য, তাহার হিসাব-পত্ৰ কাজ-কৰ্ম্ম দেখিবার জন্য সে গোপালরাম দাস নামে এক শিক্ষিত