পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)切ーや2 লক্ষণ-সেন । ত্ৰিলোচনের চক্ষে জল আসিল । ত্রিলোচন বাধা দিয়া কহিলেন,—“আমার সে দুৰ্দ্দিনের কথা তুমি তা হ’লে সকলই জানতে পেরেছিলে ?” বিশ্বেশ্বর।–“জানতে পেরেছি বৈ কি ? সেই থেকেই আমি আপনার অনুসরণে নানা স্থানে ঘূরিতেছি । আজ ভগবানের কৃপায় আপনার সাক্ষাৎ পেয়ে আমাদের বহু দিনের অশি। পূর্ণ হ’ল।” এই সময় ভূত্য আহবান করিল,—“আপনার আমুন ; অ}হার প্রস্তুত ।” * বিশ্বেশ্বর গাত্রোর্থন করিলেন । ব্রিলোচনে সঙ্কোচের ভাব প্রকাশ পাইল । বিশ্বেশ্বর কহিলেন,- 'আসুন— উঠন ; আমার নিকট আপনার সঙ্কোচের কারণ কিছুই নাই। আপনি আমার পিতৃবন্ধু—পিতৃস্থানীয় ” এই বলিয়। বিশ্বেশ্বর ত্রিলেচনের হাত ধরিলেন। ত্রিলোচন আর দ্বিরুক্তি করিষ্ঠে পারিলেন না । প্রকোষ্ঠের পাশ্বস্থিত পথ দিয়া তাহার বজরার পশ্চাৎস্থিত রন্ধনশালায় প্রবেশ করিলেন। সেইখনেই হাতমুখ ধুইবার ব্যবস্থা ছিল। মুখ হাত ধুইয়। দুষ্টজনে দুইখানি আসনে উপবেশন করিলেন। পাচক ব্রাহ্মণ দুইজনের সম্মুখে দুইখানি প্রকাণ্ড রৌপ্যপাত্রে বিবিধ আহার্য্য-দ্রব্য প্রদান করিল। বজরার সাজসজ্জা দেখিয়া ত্রিলোচন বসু যেরূপ বিস্মিত হইয়াছিলেন, আহারের প্রাচুর্য্য ও পারিপাট্য দেখিয়াও তিনি ততোহধিক বিস্থিত হইলেন। ত্রিলোচন রহস্ত কিছুই বুঝিতে পারিলেন না। তাহার মনে হইল,-“এ কি স্বপ্ন দেখিতেছি!”