পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>brげ লক্ষণ-সেন । ক্ষণেই মনে হইল,—“আমার আর সে চিন্তায় কি প্রয়োজন ? যদি আমার পূৰ্ব্বের অবস্থা থাকিত, আমার সে ভাবনাসে আশঙ্কা ছিল। কিন্তু এখন আর আমার কিসের আশঙ্কা-- কিসের ভয় ! এখন আমি দমু্য-হস্তেই পতিত হই, আর লক্ষ্মণ-সেনের কারাগারেই পুনরাবদ্ধ হই, আমার পক্ষে সকলই সমান ? ভাবনার সঙ্গে সঙ্গে ত্ৰিলোচন বসু পুনরায় পূৰ্ব্বতন প্রকেfষ্ঠৈ উপনীত হইলেন । এবার প্রকোষ্ঠ-মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন--সিংহাসন-সদৃশ সেই আসনে এক দিব্য কান্তি পুরুষ বসিয়া আলবোলায় ধূমপান করিতেছেন : তাম্রকুটের সদগন্ধে প্রকোষ্ঠ গামোদিত হইয়াছে । প্রকোষ্ঠে প্রবেশ-মাত্র বিশ্বেশ্বর সেই মুকান্ত পুরুষের সহিত ত্রিলোচনের পরিচয় করাইয়। দিলেন । র্ত্যহাদের পরস্পর হিন্দী-ভাষায় কথাবাৰ্ত্ত হইল। তিনি আসন হইতে গাত্রেথিান করিয়। ত্রিলোচন বসুকে আপায়ন করিলেন ; কহিলেন,-- “আপনাকে পাইয়া আমরা বড়ই অনিন্দিত হইয়াfছ । আe আহারাদির বড়ই কষ্ট হইল। ক্রটি মার্জনা করিবেন।" ত্রিলোচন যদিও কৃতজ্ঞতা-প্রকাশে অভিবাদন জ্ঞাপম করিলেন ; কিন্তু প্রহেলিকার মৰ্ম্ম অনুধাবন করিতে না পারিয়৷ সঙ্কুচিত হইলেন। বিশ্বেশ্বর পরিচয়-প্রসঙ্গে ত্ৰিলোচন বসুকে কহিলেন,— "আপনি বোধ হয়, আমাদের মহারাজ সাহেবকে কখনও দেখেন নাই ? ইনিই—মহারাজ বলবন্ত সিংহ । ইহারই বাহুবলে এক্ষণে ভারতবর্ষ প্রকম্পিত অযোধ্যার মহারাজ বলিয়া