পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९br লক্ষণ-সেন। টাকাগুলা সামনে পাইয়া হা হা করিয়া বিকট হাসি হাসিয়া, টাকাগুলাকে সে জলে ছুড়িয়। ফোলয় দেয়।” ব্রাহ্মণ ।—“তার পর ?’ সঙ্গী।–“ত্রিলোচন যদি সত্য কথা বলিত, সেই রাত্রেই ডুবুরি নামাইয়া, জাল ফেলিয়া, যেমন করিয়া হউক, গঙ্গা-গর্ভ হইতে কতক টাকার উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা ছিল । কিন্তু মিথ্য কথা বলিয়া, সঙ্গিগণকে শুদ্ধ বাধাইয় দিয়া, ত্রিলোচন যে । অপকৰ্ম্ম করিয়া বসিয়াছে, তাহ’র প্রায়শ্চিত্ত নাই ।” ব্রাহ্মণ –“ত্রিলোচনের কি শাস্তি হওয়ার সম্ভাবনা !” সঙ্গী।–“এ অপরাধে প্রাণদণ্ড পৰ্য্যন্ত হতে পারে।” ব্রাহ্মণ ।–“আচ্ছা, সেই পাগলট। তার পর কোথায় গেল!” সঙ্গী।–“ত্রিলোচনের হাতেও হাত-কড়ি পড়ল, সেও গঙ্গার জলে ঝাপ দিল!” ব্ৰাহ্মণ ।–“তার আর কোনও সন্ধান হ’ল ন!” সঙ্গী।–“কে আর সন্ধান করবে। তার কথাই আর উঠল না। দসু্যতে টাকা লুট করে নিয়েছে, সেই কথাই প্রবল হয়ে দাড়াল ।” ব্রাহ্মণ —“ত্রিলোচন এ সম্বন্ধে কি বলে ?” সঙ্গী।–“সে যে কি বলে, এখন আর কিছুই ঠিক নাই । সে বলে,—থলিতে আমার অগন্তি টাকা ছিল ; পাইকপেয়াদার। সে টাকা লুটিয়া লইয়াছে।” ব্রাহ্মণ –"পাইক-পেয়াদার লুটে নিল ?” সঙ্গী।–“সে তে তাই বলে । সে বলে,—মহাপুরুষ আমার থলিতে যত বালি পুরে দিয়েছিলেন, তত টাকা হয়েছিল। সে ।