পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদ্বেগে । や2) হৃষীকেশ এতদিন পর্য্যন্ত অচঞ্চল ছিলেন । কিন্তু আজ ; তানও বিচলিত হইলেন। কাত্যায়নীকে কহিলেন,— “ক ত্যায়নী ! কৰ্ম্ম শেয হইয়াছে । আর কেন ? চল, মহাসমুদ্রে গিয়া ঝাপ দিই।” কাত্যায়নী কঁদিতে লাগিলেন। হৃষীকেশ পুনরায় কহিলেন,—“আর কেন ? কি জন্য আর সংসারে ফিরিব ? সংসারের যে একমাত্র বন্ধন ছিল, তাহাকেই যখন বিসর্জন দিয়া চলিলাম, তখন তার কাহার মায়ায় জীবন ধারণ করিব ?” ব্রাহ্মণের মনে কত দুর্ভাবনা উপস্থিত হইল! প্রথমেই মনে হইল,—“দেশে ফিরিয়াই ব। আর উপায় কি ? দেশে জীবিক-সংস্থানের যে একটু উপায় ছিল, পুরুযেত্তিমে রওনা হুইবার অধ্যবহিত পূৰ্ব্বেই তাহা তো লোপ পাইয়াছে।’ ব্রাহ্মণের মনে পড়িল—ত্রিলোচন বস্থর কথা । ত্ৰিলোচন প্ৰস্থ সৰ্ব্বস্বন্তি হওয়ায় তিনিও যে সৰ্ব্বস্বন্তি হইয়াছেন । ব্রাহ্মণ দব্যচক্ষে ভধিস্থ্যং ঘোর অন্ধকারময় দেখিতে পাইলেন । তাহার পাহা কিছু জীবিক-সংস্থান, সকলই ত্রিলোচন বসুর জিদায় ছিল , fএলে{চনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ায়, তাহারও সৰ্ব্বস্ব সেই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত হইয়। গিয়াছে। এইরূপ নানা দুর্ভাবনাদুশ্চিন্তায় ব্রাহ্মণের হৃদয় অধিকতর অভিভূত হইল। এতদিন রক্ষণ পত্নীকে প্রবোধ দিয়া আসিতেছিলেন । কিন্তু আজ তিনি নিজেই বিচলিত হইয়া পড়িলেন ; কহিলেন,--“চল, সাগরে মান করিতে যাই। আর, সেই স্নানই আজ আমাদের শেষ মান হউক ।”