পাতা:লক্ষণ সেন - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টাক-টাক-টাকা । & পূর্ণিমা তিথিতে রাজদরবারে উপস্থিত হইয়া তিনি হিসাব বুঝাইয়। বাকী টাকা মিটাইয়া দিয়া আসিতেন । যে বৎসরের বৈশাখী পূর্ণিমার বিষয় পূৰ্ব্বে উল্লেখ করিয়াছি,সেই বৈশাখী পূর্ণিমার দিন দ্বিপ্রহরের মধ্যে হিসাব-নিকাশ সহ রাজধানীতে র্তাহার উপস্থিত হুইবার কথা । সম্বৎসর ধরিয়া তিনি যাহা আদায়-তহশীল করিয়াছিলেন, সেই টাকার অবশিষ্টাংশ ঐ দিন দ্বিপ্রহরের মধ্যে রাজধানীতে উপস্থিত করার ব্যবস্থা ছিল। টাকা জমা দিবার পূর্ব দিন টাকা ও হিসাব সহ রাজধানীতে পৌঁছিয়া রাজার নিকট সংবাদ দেওয়ার নিয়ম ছিল। পরদিন সেই টাকা ও হিসাব রাজ-সরকারে পেশ হইত। কিন্তু এ বৎসর বমুঞ্জ মহাশয় পূৰ্ব্ব দিন রওনা হইতে পারেন নাই। পরদিন প্রভাতে শয্যাত্যাগ করিয়াই তিনি যদি রওনা হইতেন, একটানা নদীর স্রোতে নৌকা চালাইয়া দ্বিপ্রহরের মধ্যেই তাহার নবদ্বীপে আসার সস্তাবনা ছিল । কিন্তু প্রাতঃকালে শয্যা ত্যাগ করিয়াই জিনি বাড়ী হইতে বাহির হইতে পরিলেন না। সিন্দুকের কাছে গেলেন। টাকাটা সিন্দুক হইতে বাহিৰ করিতে মায়া হইল। পূৰ্ব্ব দিন এই মায়ার বশেই তাহার রাজধানীতে রওনা হওয়া ঘটে নাই । আজও এই মায়ার বন্ধনই প্তাহাকে পুনঃপুনঃ টানিয়া রাধিতে লাগিল। একবার-দুইবার —তিনবার-চেষ্টা করিলেন। কোনক্রমেই টাকা বাহির করিতে সমর্থ হইলেন না। চতুর্থ বারে সিন্দুক হইতে টাকা বাহির করিলেন ; কিন্তু গণনা করিতে গিয়া মায়া হইল। সুতরাং আবার তাহা সিন্দুকের মধ্যেই তুলিয়া রাখিলেন। পূৰ্ব্বদিন রাজধানীতে পৌছবার কথা। কিন্তু আজও