পাতা:ললিতাসুন্দরী ও কবিতাবলী - অধরলাল সেন.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৪
ললিতাসুন্দরী।

সেই প্রেম-বিকসিত লোচন-বিস্ফার,
আনন্দ-উদ্বেল-হাসি প্রফুল্লতা-সার;
এখন সে সব, হায়, কোথায় গিয়েছে!
হায়! সে স্বপন-সুখ কোথা পলায়েছে।

বিজন কানন মাঝে দাঁড়ায়ে দুজনে,
হরিণের চারু আঁখি হেরিছে নয়নে।
একবার সে নয়ন করে দরশন,
পুনরায় পরস্পর মুখ বিলোকন।
নয়নে নয়ন পড়ে—মধুময় হাসি—
অমনি বরষে মনে অমৃতের রাশি।
মুখে কথামাত্র নাই, গলা ধরাধরি,
দাঁড়ায়ে প্রেমিকদ্বয়, অপসর অঙ্গরী।
এমন পবিত্র প্রেম কখনো কি হয়!
এমন শৈশব প্রেম ভুলিবারে নয়!

তুলিয়ে গোলাপ ফুল বিকেল বেলায়,
পরাইত সযতনে তাহার খোঁপায়;
চিবুক ধরিয়ে “দেখি, কেমন হয়েছে—
আমরি, তোমার মুখ কেমন সেজেছে।”