পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলে, আপনাকে ঠেঙ্গানো উচিত। কিন্তু কি করি। মায় পড়ে গেছে মেয়েটার ওপরে। দুঘণ্টা পরে পঙ্কজের বাড়ী রান্না খাওয়ার পাট সাঙ্গ করে সুবালা ফিরে আসে । অঘোর বেরিয়ে গিয়েছিল। ডুমুর বলে, আমিও একটু পাড়া বেড়িয়ে আসি । তোমাদের বোঝাপড়া হোক । সেমিজের ওপর ডুমুর কোড়া শাড়ী পডেছে। সিথিতে বা কপালে তার সিদুর নেই। ছেলেকে কোলে নিয়ে সে চুপ-চাপ সামনে বসে থাকে। হরেন। কাতর ভাবে ক’লে, ওকে একটু মাই দাও । ধীরে ধীরে সেমিজের বোতাম খুলে সুবালা ছেলের মুখে মাই তুলে দেয় । মাই টানবার চেষ্টা করতে করতে মুখ বাকিয়ে বাচ্চাটা একবার কেঁদে ওঠে, তারপর আবার মাই খাবার চেষ্টা করতে গিয়ে কচি দান্তে প্ৰাণপণে কামড় বসিয়ে দেয় । সুবালা বলে, উঃ ! আবার সে ধীরে ধীরে সেমিজের বোতাম এটে দেয় । তার স্তনের দুধ শুবিয়ে গেছে । হরেন নিজে থেকেই তার কৈফিয়ৎ দেয়, বলে, পোলারে নিয়া তুমি ভিখ মাগবা আমি সইতে পারি নাই । সুবালা ধীরে ধীরে বলে, ভিখ না। মাগলে পোলারে বা আমারে বঁচা দেখত না । হরেন বলে, তা বুঝি না ? তবু গা ও যান। জাইলা যাইত। কিন্তু পোলারে নিয়া গিয়া কি ফ্যাসাদে পড়লাম কি কামু তোমারে । রাঙামাসী মাই দিল কয়দিন অ ! রাঙামাসী মাই দিছে ! 8