পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুৰ্য্যপদর কাছে ! এর চেয়ে ছেলেটা শয়তান-গুণ্ডা থাকাও ভাল ছিল --বয়স বাড়লে আপনি শুধরে যেত । দিন কতক পরে হর্যনাথ ব্যবসার কাজে তিন দিনের জন্য বাইরে DBBD S DBDDBBD DBBD S SDBBDSDDLB MLEBD DDDD BBDS SBB ভালভাবে শাসন করে দেওয়া হয়। আর অনাথ এসে হাঙ্গামা করলে যেন সোজা পুলিশ ডেকে ধরিয়ে দেওয়া হয়। একবার থানাটাও ঘুরে গেল, অনাথ কি ভাবে তার ছেলের মাথা বিগড়ে দেবার চেষ্টা করছে জানিয়ে দেবার জন্য । পরদিন সকালে আড়াতে ও আড়াতের সামনে হৈ হৈ কাণ্ড শুরু হয়ে গেল। নিতাইচরণ অ্যাডতের প্রধান কৰ্ম্মচারী, বাবু নেই বলে আডত খুলতে লোক পাঠিয়ে নিজে একটু বেলা করে তেলতে দুলতে এসে দ্য!খে কি, প্ৰায় শ’পাচেক লোক জমা হযেছে আভিতের সামনে । তাড়াতাড়ি ভেতরে ঢুকে নিতাই চরণের চক্ষুস্থির ! অ্যাডতেরা যে কোনে হাজার টিন তেল ছিল পরশু পৰ্য্যস্ত, সেখানে মেঝেতে তেল আর ময়লার পুরু পাকের ওপরেই আন্ডতের সবাই বসে আছে। তফাতে হর্ষনাথের দু’নলা বন্দুক হাতে দাড়িয়ে রমেন। রমেনেব সমবয়সী। ছেলেতে আডত বোঝাই । ‘আসুন নিতাই কাকা । গুদোমের চাবিটা দিন তো।” “চাবি ? চাবি কোথা পাব ? চাবি তোমার বাবার কাছে।” “তা হলে ওখানে গিয়ে বসুন । দরজা ভাঙ্গতে হবে ।” রমেনের এক বন্ধু তার হাত ধবে নিয়ে গিয়ে তেল গাদায় ধাপ করে বসিযে দেয় । রমেন বলে, ”এই বন্দুক নিযে একজনের ঠ্যাং খোড করে দিয়েছিলাম মনে আছে তো ? কেউ কোন ফন্দি-ফিকির-চালাকি করবার চেষ্টা করবেন না । সত্যি সত্যি গুলি করব। কিন্তু ।” S R