পাতা:লাজুকলতা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খাচায় বন্দী আবেগ আর ভাবালতা খাইয়ে পোষ মানানো মেয়েরা অবশ্য বোঝে না। এ রসিকতা-খাপছাড়া কোন ঘটনা বা অ্যাকৃসিডেন্ট ছাড়া কোন একটী অনিলের কাছাকাছি এসে দু’মিনিট দু’টো কথা বলাই তাদের কাছে অসম্ভব অবাস্তব স্বপ্ন হয়ে থাকে। এদের কাছে সম্ভব আর বাস্তব করতে তাই নিরানব্বইটী উপন্যাসে নায়ক নায়িকা কাছে আসে আর প্রেমে পড়ে খাপছাড়া ঘটনা বা অ্যাকৃসিডেন্টের সাহায্যে ! সাধে কি কান্ত দু’একটি ছাড়া উপন্যাস পড়তে পারে না, তার হাই ওঠে। খাপছাড়া ঘটনা জগতে ঘটেছে, অ্যাকসিডেণ্ট সর্বদাই । ক’লাখ জীবনে কি ভাবে কেন ঘটে আর পরিণাম কি দাড়ায় । চাকরীটা ফসকে যাওয়ায় তার বাডীর মানুষের হাড়ি মুখ আর মায়ের কান্নাকাটি-অনিলের এই কথাগুলি সে ভুলতে পারে না, বার दादू मgन *ig७ यां । DBBD BB DDB DBD BDB BB DDB DDBDDS DBL0 মাঝে মাঝে বোক চাপিতো অনিলের বাউী গিয়ে দেখে আসতে যে বাড়ির মানুষেরা কি বলছে আর করছে, অনিলের অবস্থা সত্যই কিরকম দাড়িয়েছে । চাকরী অনিলের, পাওয়া উচিত। ইতিমধ্যেই পাওয়া উচিত। চাকরী সে পেয়েছে কি না কে জানে। সত্য কথা বলতে কি, অনিল চলে যাবার পর তার কোয়লিফিকেশনের বিবরণ মাধবের কাছে শুনে কান্ত বেশ খানিকটা মীরমে মারে আছে। তার কোনই দোষ নেই, সংসারের সাধারণ নিয়মনীতি বাইরে বলা যায় এমন কোন সম্পর্কই মাধবের সঙ্গে তার গড়ে ওঠেনি, গরীবের “ঘরের মেয়ে হয়েও অসীম কষ্ট সয়ে আর প্রাণপাত চেষ্টা করে একটা চাকরী বাগানো ছাড়া আর কোন অপরাধই সে কারো কাছে করেনি। Y-9)